বিশ্বের সকল প্রকার রেকর্ড সংরক্ষণ করার আন্তর্জাতিক ও অত্যন্ত জনপ্রিয় বই হচ্ছে গিনেস বুক। অনেক মানুষের জীবনকালের বেশির ভাগ সময় কেটে যায় এ বইয়ে নাম ওঠানোর জন্য। আবার কেউ কেউ নিজের অজান্তেই নাম উঠিয়েছেন এই বিখ্যাত বইয়ে। বইটিতে মূলত মানুষের সর্বোচ্চ কোনো অর্জন বা রেকর্ড, দ্রুতগতি, উচ্চতা, প্রকৃতির তীব্রতম আচরণ ও বিরল কোনো বস্তু প্রভৃতি ঘটনা স্থান পেয়ে থাকে।
তেমনি সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু যান চলাচলের উপযোগী সড়কে অনুষ্ঠিত হয় একটি ফ্যাশন শো। এটিকে বিশ্বরেকর্ডের স্বীকৃতি দেয় গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ। এই ফ্যাশন শোতে অংশ নিয়ে মোট ১২ জন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লিখিয়েছেন। বাংলাদশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা রাফাহ নানজিবা তোরসা তাদেরই একজন।
এমন সাফল্যে তিনি আনন্দিত, অভিভূত।সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশে-২০১৯’ মুকুটজয়ী তোরসা বিশ্বরেকর্ডের সাফল্যে বলেন, ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের মতো এমন একটি জায়গায় বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে পেরেছি, এটা গর্বের। বিজিএমই এতে আমাকে বেশ সহযোগিতা করেছে। আশা করছি, এই প্রাপ্তিতে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের জনগণ অনেক বেশি খুশি হবেন। আগামীতে দেশের জন্য এবং শোবিজ ও গার্মেন্টস সেক্টরে এমন আরো যেন প্রাপ্তি আনতে পারি, এ জন্য সবাই দোয়া করবেন। তোরসা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের হয়ে এই অর্জন ভীষণ ভালো লাগার। কারণ আমার জানা মতে এবারই প্রথম মডেল-অভিনেত্রী হিসেবে আমার মাধ্যমে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। তাই ভালো লাগাটা একটু বেশিই। এই ১২ জনকে আলাদা আলাদা সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
যা শিগগিরই আমরা হাতে পাব। ভারতের অত্যন্ত সুন্দরতম স্থান লাদাখের উচ্চতম মোটরযোগ্য রাস্তা উমলিং লাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই ফ্যাশন শো। এটি ১৯ হাজার ২৪ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। ফ্যাশন শোটি লাদাখ আর্ট অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট অ্যালায়েন্সের অংশীদারত্বে লাদাখ স্বায়ত্তশাসিত পার্বত্য উন্নয়ন পরিষদ দ্বারা আয়োজন করা হয়েছিল এবং এতে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও সীমান্ত সড়ক সংস্থার সমর্থন ছিল। শোতে সারা বিশ্বের ১২টি দেশের মডেলরা অংশ নেন। শোয়ের আয়োজকরা জানিয়েছেন, উমলিং লা ফ্যাশন শোটির উদ্দেশ্য ছিল ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ অর্থাৎ ‘এক বিশ্ব এক পরিবার’, এতে ধর্মের প্রচারের পাশাপাশি অত্যন্ত মূল্যবান জিআই ট্যাগড লাদাখের পশমিন গুরুত্ব পেয়েছে।