ঢাকা ০১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেনাল্টি পেয়ে মান বাচলো ব্রাজিলের

ম্যাচের শেষদিকে জয়টা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছিল স্প্যানিশদের। কিন্তু শেষ বাঁশি বাজার আগে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। স্পটকিক থেকে গোল করে হার এড়ান লুকাস পাকেতা।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে ব্রাজিল এবং স্পেনের শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অনুষ্ঠিত ফিফা প্রীতি ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই হলেও জয় পায়নি কোনো দলই। ম্যাচটি ড্র হয়েছে ৩-৩ গোলে।

ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছে স্বাগতিক স্পেন। প্রথম ১৫ মিনিটে ব্রাজিলকে কোনো আক্রমণেই যেতে দেয়নি স্প্যানিশরা। এ সময়ে একের পর এক আক্রমণে ব্রাজিলিয়ানদের দিশেহারা করে তোলে স্বাগতিকরা। গোল বাঁচাতে গিয়ে দ্বাদশ মিনিটে লামিন ইয়ামালকে ফাউল করে বসেন জোয়াও গোমেজ। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। মাঝ বরাবর স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন রদ্রি।

খেলার ধারার বিপরীতে ১৮ মিনিটে প্রথমবার আক্রমণ করে ব্রাজিল। তবে রদ্রিগোর কাছ থেকে ভালো জায়গায় পাস পেয়েও গোলরক্ষকের হাতে বল তুলে দেন ভিনিসিউস জুনিয়র।

ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্পেন। ইয়ামালের পাস ডি-বক্সে পেয়ে ঠান্ডা মাথায় প্রথমে ডিফেন্ডার লুকাস বেরাল্দু এবং পরে ব্রুনো গিমারেজ কাটিয়ে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন লাইপজিগের মিডফিল্ডার ওলমো।

দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ব্রাজিল। তবে সেলেসাওরা প্রথম গোলটি পেয়েছে স্পেন গোলরক্ষকের ভুলে। সতীর্থের ব্যাকপাস পেয়ে আরেক সতীর্থকে খুঁজে নেয়ার চেষ্টায় রদ্রিগোর পায়ে বল তুলে দেন উনাই সিমোন। এমন উপহার পেয়ে কোনো ভুল করেননি রদ্রিগো। অনেকখানি এগিয়ে থাকা গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠান রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।

আক্রমণের ধার বাড়াতে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একসঙ্গে চারটি পরিবর্তন আনে ব্রাজিল। রাফিনিয়ার জায়গায় নামেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের নায়ক এন্দরিক। আর মাঠে নেমেই সাফল্য এনে দেন এই তরুণ তারকা।

খেলার ৫০ মিনিটে ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান এন্দরিক। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল স্পেন ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বক্সেই পেয়ে যান এন্দরিক; জোরালো ভলি মারেন তিনি। বল প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে কিঞ্চিৎ দিক পাল্টে জালে জড়ায়।

ব্রাজিল সমতা ফেরানোর পর দুই দলই আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে সমান তালে। তবে ধীরে ধীরে খেলার গতি কিছুটা কমে। দুই দলই আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করতে থাকলেও ভালো সুযোগ মিলছিল না। তবে ব্রাজিলের কপাল পোড়ে পেনাল্টিতে। ৮৫ মিনিটে ডি-বক্সে দানি কারভাহালকে ফাউল করে আবারও পেনাল্টি হজম করে সেলেসাওরা। স্পটকিক থেকে লিড এনে দিতে ভুল করেননি রদ্রি।

হার এড়াতে শেষদিকে আরও মরিয়া হয়ে ওঠে ব্রাজিল। তবে কোনো সুযোগই কাজে লাগাতে পারছিল না সফরকারীরা। ম্যাচ প্রায় জিতেই যাচ্ছিল স্পেন, তবে কয়েক সেকেন্ড বাকি থাকতে পেনাল্টি পেয়ে যায় ব্রাজিল। ব্রাজিলের উইঙ্গার গালেনোকে বক্সে ফাউল করে বসেন কারভাহাল। স্পটকিক থেকে সমতা ফেরান পাকেতা। রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে ড্র নিয়ে (৩-৩) মাঠ ছাড়ে দুই দল।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনা টুপ করে পড়লেন কিনা দেখতে পদ্মা সেতুতে সারজিস

পেনাল্টি পেয়ে মান বাচলো ব্রাজিলের

আপডেট সময় ০১:০৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

ম্যাচের শেষদিকে জয়টা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছিল স্প্যানিশদের। কিন্তু শেষ বাঁশি বাজার আগে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। স্পটকিক থেকে গোল করে হার এড়ান লুকাস পাকেতা।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে ব্রাজিল এবং স্পেনের শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অনুষ্ঠিত ফিফা প্রীতি ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই হলেও জয় পায়নি কোনো দলই। ম্যাচটি ড্র হয়েছে ৩-৩ গোলে।

ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছে স্বাগতিক স্পেন। প্রথম ১৫ মিনিটে ব্রাজিলকে কোনো আক্রমণেই যেতে দেয়নি স্প্যানিশরা। এ সময়ে একের পর এক আক্রমণে ব্রাজিলিয়ানদের দিশেহারা করে তোলে স্বাগতিকরা। গোল বাঁচাতে গিয়ে দ্বাদশ মিনিটে লামিন ইয়ামালকে ফাউল করে বসেন জোয়াও গোমেজ। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। মাঝ বরাবর স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন রদ্রি।

খেলার ধারার বিপরীতে ১৮ মিনিটে প্রথমবার আক্রমণ করে ব্রাজিল। তবে রদ্রিগোর কাছ থেকে ভালো জায়গায় পাস পেয়েও গোলরক্ষকের হাতে বল তুলে দেন ভিনিসিউস জুনিয়র।

ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্পেন। ইয়ামালের পাস ডি-বক্সে পেয়ে ঠান্ডা মাথায় প্রথমে ডিফেন্ডার লুকাস বেরাল্দু এবং পরে ব্রুনো গিমারেজ কাটিয়ে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন লাইপজিগের মিডফিল্ডার ওলমো।

দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ব্রাজিল। তবে সেলেসাওরা প্রথম গোলটি পেয়েছে স্পেন গোলরক্ষকের ভুলে। সতীর্থের ব্যাকপাস পেয়ে আরেক সতীর্থকে খুঁজে নেয়ার চেষ্টায় রদ্রিগোর পায়ে বল তুলে দেন উনাই সিমোন। এমন উপহার পেয়ে কোনো ভুল করেননি রদ্রিগো। অনেকখানি এগিয়ে থাকা গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠান রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।

আক্রমণের ধার বাড়াতে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একসঙ্গে চারটি পরিবর্তন আনে ব্রাজিল। রাফিনিয়ার জায়গায় নামেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের নায়ক এন্দরিক। আর মাঠে নেমেই সাফল্য এনে দেন এই তরুণ তারকা।

খেলার ৫০ মিনিটে ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান এন্দরিক। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল স্পেন ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বক্সেই পেয়ে যান এন্দরিক; জোরালো ভলি মারেন তিনি। বল প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে কিঞ্চিৎ দিক পাল্টে জালে জড়ায়।

ব্রাজিল সমতা ফেরানোর পর দুই দলই আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে সমান তালে। তবে ধীরে ধীরে খেলার গতি কিছুটা কমে। দুই দলই আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করতে থাকলেও ভালো সুযোগ মিলছিল না। তবে ব্রাজিলের কপাল পোড়ে পেনাল্টিতে। ৮৫ মিনিটে ডি-বক্সে দানি কারভাহালকে ফাউল করে আবারও পেনাল্টি হজম করে সেলেসাওরা। স্পটকিক থেকে লিড এনে দিতে ভুল করেননি রদ্রি।

হার এড়াতে শেষদিকে আরও মরিয়া হয়ে ওঠে ব্রাজিল। তবে কোনো সুযোগই কাজে লাগাতে পারছিল না সফরকারীরা। ম্যাচ প্রায় জিতেই যাচ্ছিল স্পেন, তবে কয়েক সেকেন্ড বাকি থাকতে পেনাল্টি পেয়ে যায় ব্রাজিল। ব্রাজিলের উইঙ্গার গালেনোকে বক্সে ফাউল করে বসেন কারভাহাল। স্পটকিক থেকে সমতা ফেরান পাকেতা। রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে ড্র নিয়ে (৩-৩) মাঠ ছাড়ে দুই দল।