প্রায় দেড় মাস হাসপাতালে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন বর্ষীয়াণ অভিনেতা পার্থসারথি দেব। সবাই ধরে নিয়েছিলেন, লড়াই শেষে ফিরে আসবেন তুখোর এই অভিনেতা। কিন্তু সবাইকে কাঁদিয়ে অনন্তলোকের পথে পাড়ি দিলেন তিনি।
দীর্ঘ দিন সিওপিডির সমস্যায় ভুগছিলেন পার্থসারথি। ফুসফুসে সংক্রমণ ছিল তার। নিউমোনিয়াও ধরা পড়েছিল। গত ৪৩ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়েছে। জানিয়েছে আনন্দবাজার অনলাইন।
জানা যায়, মৃত্যুকালে অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তার মৃত্যুতে টলিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গ মোশন পিকচার্স আর্টিস্ট ফোরাম’-এর সহ-সভাপতি ছিলেন পার্থসারথি। ঘনিষ্ঠমহলে পরিচিত ছিলেন ‘পার্থদা’ হিসাবেই। ফোরামের তরফে রাতে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অভিনেতার মৃত্যুসংবাদ জানানো রয়েছে। তাতে ফোরামের সাধারণ সম্পাদক তথা অভিনেতা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়ের স্বাক্ষর রয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, ‘‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, প্রখ্যাত অভিনেতা এবং আমাদের ফোরামের অন্যতম সহ-সভাপতি পার্থসারথি দেব ২২ মার্চ রাত ১১টা ৫০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার অকালপ্রয়াণে ফোরাম গভীর শোক জ্ঞাপন করছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতেই জানানো হয়েছে, শনিবার দুপুর ১২টায় টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে পার্থসারথির দেহ নিয়ে যাওয়া হবে। অভিনেতার সহকর্মী, ভক্ত, প্রিয়জনেরা চাইলে সেখানে গিয়ে মাল্যদান এবং শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে পারবেন।
জানা যায়, ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বাঙুর হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল বর্ষীয়ান অভিনেতাকে। এর আগে ২০২১ সালে এক বার করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে বেশ কিছু দিন ভর্তি ছিলেন পার্থসারথি।
‘কাকাবাবু হেরে গেলেন’, ‘লাঠি’, ‘প্রেম আমার’-সহ একাধিক জনপ্রিয় বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন পার্থসারথি। ছোট পর্দার জন্য ‘সত্যজিতের গপ্পো’ সিরিজ়েও অভিনয় করেছিলেন তিনি। গত বছর ‘বগলা মামা যুগ যুগ জিও’ এবং ‘রক্তবীজ’ ছবিতে দেখা গিয়েছে তাকে। সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় পার্থসারথির। তার পর থেকে একাই থাকতেন। বিগত কয়েক বছর সিরিয়াল থেকে দূরত্ব বজায় রাখলেও তাঁর বেশ কিছু ছবির ডাবিং বাকি থেকে গিয়েছিল। কাজ ফেলে রেখেই চলে গেলেন অভিনেতা।