দীর্ঘ এক বছর পর আবার আমাদের মাঝে এসেছে রহমত, বরকত ও নাজাতের মাস মাহে রমাদান। রমদান মাস এলেই ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা এবাদতের জন্য নানারকম প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। রোজাগুলো যেন মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে কবুল হয়, সে জন্য থাকে বাড়তি সতর্কতা। রোজা উপলক্ষে শেখার চেষ্টা করেন বিভিন্ন ধরণের দোয়া, নামাজের জন্য ছোট ছোট সূরা, মাসয়ালা-মাসায়েল ইত্যাদি।
আজ আমরা আমাদের পাঠকদের সাথে শেয়ার করবো রোজা রাখা ও রোজা ভেঙে ইফতার করার দোয়া। অনেকে হয়ত এ দোয়া জানেন না। কিংবা জানলেও ভুলে গেছেন। তাদের জন্য দেয়া হলো রোজা রাখার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া-,
রোজা রাখার নিয়ত :
আমলের গ্রহণ যোগ্যতার বিষয়টি নিয়তের ওপর নির্ভর করে। কোনো কাজ বা আমল করার আগে নিয়ত ঠিক না থাকলে আল্লাহ তায়ালা সেই আমল কবুল করবেন না।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক ব্যক্তির আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। (বুখারি, হাদিস, ১)
রোজা শুদ্ধ হওয়ার জন্য নিয়ত করা আবশ্যক। রমজানের প্রতিদিনই রোজার নিয়ত করতে হবে। এক দিনের নিয়ত পুরো রমজানের রোজার জন্য যথেষ্ট হবে না। রমজানুল মোবারকে মনে মনে শুধু এটুকু ভাবলেই নিয়ত হয়ে যাবে, আমি আজ রোজা রাখব।
রোজার জন্য আরবি নিয়ত বাধ্যতামূলক না হলেও রোজার নিয়ত করা ফরজ। তাই আমরা রোজার জন্য এভাবে নিয়ত করতে পারি-
হে আল্লাহ! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমাদ্বানের ফরজ রোজা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাত।
ইফতারের দোয়া :
اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ وَ اَفْطَرْتُ
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া তাওয়াক্কালতু আ’লা রিজক্বিকা ওয়া আফতারতু
অর্থ- হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্ব দ্বারা ইফতার করছি।