রাশিয়া ও সৌদি আরব থেকে ৭০ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৪০ হাজার টন ডিএপি ও ৩০ হাজার টন এমওপি সার রয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৫১ কোটি ২৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে এসব কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান। তিনি জানান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের মা-আদেন থেকে তৃতীয় লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি টন ডিএপি সারের মূল্য ৫৮১ মার্কিন ডলার।
এতে মোট ব্যয় হবে দুই কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এই প্রস্তাবটি নিয়ে আসে কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন ‘প্রডিন্টরগ’ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রতি টন এমওপি সারের মূল্য ২৮৯.৭৫ মার্কিন ডলার। এই হিসাবে মোট ব্যয় হবে ৮৬ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৯৫ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। দেশে ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটাতে চার কার্গো এলএনজি সরবরাহের পৃথক চারটি প্রস্তাবসহ ১৮টি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ১৪ হাজার ১১৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
গত কয়েক বছর ধরে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে পৃথক চারটি কোটেশনের মাধ্যমে চার কার্গো এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে মোট খরচ হবে এক হাজার ৬৩৭ কোটি ৪৩ লাখ ২২ হাজার টাকা।