ঢাকা ১১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাশের সঙ্গে ছিল ৪০টি স্বর্ণের বার, যার মূল্য ৫ কোটি টাকা!

যশোরের শার্শা সীমান্ত দিয়ে ভারতে সোনা পাচারের সময় ইছামতী নদীতে ডুবে যাওয়া মশিয়ার রহমান নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় মশিয়ারের শরীরে বেঁধে রাখা ৫ কোটি টাকা মূল্যের ৫ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে।

বিজিবির তথ্য সূত্র বলছে, মশিয়ার ছিলেন একজন স্বর্ণ পাচারকারী। বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুর ২টায় শার্শার অগ্রভুলোট সীমান্তের ইছামতী নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মৃতের পরিবার জানান, গত ১০ মার্চ দুপুর ২টার সময় মশিয়ার রহমানকে তার বাড়ি থেকে রহিম ও জামাল নামের দুই ব্যক্তি ডেকে নিয়ে আসে। তার এক ঘণ্টা পর রহিমের ছেলে তাদেরকে খবর দেয় মশিয়ার রহমান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ঘেঁষা ইছামতী নদীতে ডুবে গেছে। এরপর বিষয়টি তারা বিজিবিকে জানায়। পরে বিজিবি ও বিএসএফ সমন্বয় করে ইছামতি নদীতে খোঁজ চলে।

১৩ মার্চ দুপুর ১২টার সময় লোক মুখে জানতে পারে ইছামতি নদীতে লাশ ভাসছে। পরে সেখানে গিয়ে লাশ শনাক্ত হয়। পরে বিজিবি ও পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মুহাম্মদ খুরশীদ আনোয়ার জানান, সীমান্তের ইছামতী নদী থেকে ৫ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ৪০ পিচ স্বর্ণের বারসহ মশিয়ার রহমান নামে এক স্বর্ণ পাচারকারী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত লাশ শার্শা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, স্বর্ণসহ ইছামতী নদী থেকে মশিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিচারের পর আ‘লীগ নির্বাচন করতে পারবে: ড. ইউনূস

লাশের সঙ্গে ছিল ৪০টি স্বর্ণের বার, যার মূল্য ৫ কোটি টাকা!

আপডেট সময় ১২:৩৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

যশোরের শার্শা সীমান্ত দিয়ে ভারতে সোনা পাচারের সময় ইছামতী নদীতে ডুবে যাওয়া মশিয়ার রহমান নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় মশিয়ারের শরীরে বেঁধে রাখা ৫ কোটি টাকা মূল্যের ৫ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে।

বিজিবির তথ্য সূত্র বলছে, মশিয়ার ছিলেন একজন স্বর্ণ পাচারকারী। বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুর ২টায় শার্শার অগ্রভুলোট সীমান্তের ইছামতী নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মৃতের পরিবার জানান, গত ১০ মার্চ দুপুর ২টার সময় মশিয়ার রহমানকে তার বাড়ি থেকে রহিম ও জামাল নামের দুই ব্যক্তি ডেকে নিয়ে আসে। তার এক ঘণ্টা পর রহিমের ছেলে তাদেরকে খবর দেয় মশিয়ার রহমান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ঘেঁষা ইছামতী নদীতে ডুবে গেছে। এরপর বিষয়টি তারা বিজিবিকে জানায়। পরে বিজিবি ও বিএসএফ সমন্বয় করে ইছামতি নদীতে খোঁজ চলে।

১৩ মার্চ দুপুর ১২টার সময় লোক মুখে জানতে পারে ইছামতি নদীতে লাশ ভাসছে। পরে সেখানে গিয়ে লাশ শনাক্ত হয়। পরে বিজিবি ও পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মুহাম্মদ খুরশীদ আনোয়ার জানান, সীমান্তের ইছামতী নদী থেকে ৫ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ৪০ পিচ স্বর্ণের বারসহ মশিয়ার রহমান নামে এক স্বর্ণ পাচারকারী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত লাশ শার্শা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, স্বর্ণসহ ইছামতী নদী থেকে মশিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।