ঢাকা ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ইফতার মাহফিলে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য

ঢাবিতে রমজানের আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য

ইফতার মাহফিলে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য

ঢাবি’র বঙ্গবন্ধু টাওয়ার মসজিদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রদের ‘প্রোডাক্টিভ রমজান’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য।

এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আজ বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুর ২টায় রোজার ফজিলত ও তাৎপর্য সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের মসজিদে আলোচনা করতে গেলে সেখানে রোজাদার শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালায় চিহ্নিত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। হামলায় এসময় ৭ রোজাদার ছাত্র আহত হয়েছে। হামলায় নেতৃত্ব দেয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডুর অনুসারী ও শাহবাগ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল সুজন। পবিত্র রমজান মাসে আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের ন্যাক্কারজনক হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের এমন ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে দেশবাসী চরমভাবে ক্ষুব্ধ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রলীগ শুধু সন্ত্রাসী সংগঠনই নয় বরং তাদের মদদ দাতাদের মতই চরম ইসলাম বিদ্ধেষী। যা এই ঘৃন্য হামলার মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত হয়েছে। এর আগেও তারা ধার্মিক ছাত্রদের টার্গেট করে হামলা নির্যাতন চালিয়েছে। অনেককে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে ছাত্রলীগ। ছাত্রসমাজ মনে করে, এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং আওয়ামীলীগের ইসলাম বিরোধী অপতৎপরতা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের কাছে ছাত্রসমাজ মাথা নত করবে না। ক্যাম্পাসে ধর্ম চর্চা প্রতিটি শিক্ষার্থীর আইনী ও সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র ছাত্রসমাজ বাস্তবায়ন করতে দিবে না। আমরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান রেখে বলতে চাই, অবিলম্বে হামলাকারী চিহ্নিত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। শিক্ষার্থীদের ধর্ম চর্চা বাধা প্রদান বন্ধ করতে হবে। ক্যাম্পাসে ছাত্রদের নিরাপত্তার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় এমন ইসলাম বিদ্ধেষী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখলে এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। আর এমন কিছু হলে তার দায় সংশ্লিষ্টদের বহন করতে হবে।

বিবৃতি প্রদানকারী নেতৃবৃন্দ হচ্ছেন, সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র ও ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি সভাপতি নিজাম উদ্দিন আল আদনান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রমজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ খালেদ সাইফুল্লাহ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা জুয়েল, জাগপা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রহমান ফারুকী, বাংলাদেশ ইসলামীছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি এহতেশামুল হক সাখী, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীন, বাংলাদেশ ছাত্রমিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ মিলন, জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী ফয়েজ আহমদ।

জনপ্রিয় সংবাদ

যুদ্ধবিরতিতে গেল ইসরায়েল-লেবাননি গোষ্ঠী

ইফতার মাহফিলে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য

ঢাবিতে রমজানের আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য

আপডেট সময় ১১:৫৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

ঢাবি’র বঙ্গবন্ধু টাওয়ার মসজিদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রদের ‘প্রোডাক্টিভ রমজান’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য।

এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আজ বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুর ২টায় রোজার ফজিলত ও তাৎপর্য সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের মসজিদে আলোচনা করতে গেলে সেখানে রোজাদার শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালায় চিহ্নিত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। হামলায় এসময় ৭ রোজাদার ছাত্র আহত হয়েছে। হামলায় নেতৃত্ব দেয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডুর অনুসারী ও শাহবাগ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল সুজন। পবিত্র রমজান মাসে আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের ন্যাক্কারজনক হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের এমন ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে দেশবাসী চরমভাবে ক্ষুব্ধ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রলীগ শুধু সন্ত্রাসী সংগঠনই নয় বরং তাদের মদদ দাতাদের মতই চরম ইসলাম বিদ্ধেষী। যা এই ঘৃন্য হামলার মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত হয়েছে। এর আগেও তারা ধার্মিক ছাত্রদের টার্গেট করে হামলা নির্যাতন চালিয়েছে। অনেককে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে ছাত্রলীগ। ছাত্রসমাজ মনে করে, এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং আওয়ামীলীগের ইসলাম বিরোধী অপতৎপরতা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের কাছে ছাত্রসমাজ মাথা নত করবে না। ক্যাম্পাসে ধর্ম চর্চা প্রতিটি শিক্ষার্থীর আইনী ও সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র ছাত্রসমাজ বাস্তবায়ন করতে দিবে না। আমরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান রেখে বলতে চাই, অবিলম্বে হামলাকারী চিহ্নিত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। শিক্ষার্থীদের ধর্ম চর্চা বাধা প্রদান বন্ধ করতে হবে। ক্যাম্পাসে ছাত্রদের নিরাপত্তার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় এমন ইসলাম বিদ্ধেষী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখলে এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। আর এমন কিছু হলে তার দায় সংশ্লিষ্টদের বহন করতে হবে।

বিবৃতি প্রদানকারী নেতৃবৃন্দ হচ্ছেন, সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র ও ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি সভাপতি নিজাম উদ্দিন আল আদনান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রমজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ খালেদ সাইফুল্লাহ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা জুয়েল, জাগপা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রহমান ফারুকী, বাংলাদেশ ইসলামীছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি এহতেশামুল হক সাখী, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীন, বাংলাদেশ ছাত্রমিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ মিলন, জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী ফয়েজ আহমদ।