ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় তারাবির আগে কলার হালি ৩০, পরে ৫০

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে তারাবির নামাজের আগে যে কলার হালি ছিল ৩০ টাকা, নামাজের পর সেই কলার হালি ৫০ টাকায় কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে প্রতি হালি কলায় দাম বেড়েছে ২০ টাকা। তাই ঝড়ের গতিতে বাড়ানো দাম নিয়ন্ত্রণে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ক্রেতারা। গতকাল প্রথম তারাবির পরে এই চিত্র দেখা যায়।

কলা ব্যবসায়ীরা বলছেন, কিনতে হয় বেশি দামে, তাই বিক্রি করার সময় হাতে কিছু টাকা রেখে বিক্রি করতে হচ্ছে।

গতকাল সোমবার (১১ মার্চ) রাতে শহরের রেলগেট এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। তবে, ক্রেতা ও কিছু ব্যবসায়ীরা বলছে, ক্রেতাদের অতিরিক্ত চাহিদা থাকায় কিছুসংখ্যক অসাধু ব্যবসায়ী এ সুযোগ নিচ্ছে।

গতকাল প্রথম তারাবির নামাজের আগে ও পরে শহরের কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রকারভেদে প্রতি হালি মানিক কলার দাম ২৫ থেকে ৫০ টাকা, সাগর কলার দাম ৩০ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। যে কলার হালি নামাজের আগেও বিক্রি হয়েছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা, সেই কলার হালি নামাজের পর বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

পবিত্র রমজান মাসকে ঘিরে দাম বৃদ্ধির এমন অস্থিরতায় ইফতারির তালিকায় কলা রাখার ইচ্ছে মিটে গেছে অনেক ক্রেতার। রমজান মাসে কলার চাহিদা বাড়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ইচ্ছেমতো। কলা বুঝে হালিতে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। ফলে এই কলা কিনতে গিয়েই অনেকই হিমশিম খাচ্ছেন।

সান্তাহার পৌর শহরের রেলগেটে কলা কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে কলার দাম শুনে গেছি প্রতি হালি ৩০ টাকা। নামাজ শেষ করে কলা কিনে বাড়ি যাব ভেবে নামাজের পর এসে দাম শুনি প্রতি হালি ৫০ টাকা। নামাজের ব্যবধানেই প্রতি হালিতে ২০ টাকা বেড়ে গেল, এটা কি ভাবে মেনে নেওয়া যায়?

একাধিক কলা বিক্রেতা বলেন, কলার আড়তে দাম বাড়ার কারণে আমরা বেশি দামে কলা কিনছি। যার কারণে কলা বেশি দামে বিক্রয় করতে হচ্ছে। তবে নামাজের আগে কলার দাম ৩০ টাকা থাকলেও নামাজের পড় কলার দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি তারা অস্বীকার করে বলেন, দাম আরও আগেই বেড়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ চালু করলো পাকিস্তান

বগুড়ায় তারাবির আগে কলার হালি ৩০, পরে ৫০

আপডেট সময় ০৩:৪০:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে তারাবির নামাজের আগে যে কলার হালি ছিল ৩০ টাকা, নামাজের পর সেই কলার হালি ৫০ টাকায় কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে প্রতি হালি কলায় দাম বেড়েছে ২০ টাকা। তাই ঝড়ের গতিতে বাড়ানো দাম নিয়ন্ত্রণে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ক্রেতারা। গতকাল প্রথম তারাবির পরে এই চিত্র দেখা যায়।

কলা ব্যবসায়ীরা বলছেন, কিনতে হয় বেশি দামে, তাই বিক্রি করার সময় হাতে কিছু টাকা রেখে বিক্রি করতে হচ্ছে।

গতকাল সোমবার (১১ মার্চ) রাতে শহরের রেলগেট এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। তবে, ক্রেতা ও কিছু ব্যবসায়ীরা বলছে, ক্রেতাদের অতিরিক্ত চাহিদা থাকায় কিছুসংখ্যক অসাধু ব্যবসায়ী এ সুযোগ নিচ্ছে।

গতকাল প্রথম তারাবির নামাজের আগে ও পরে শহরের কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রকারভেদে প্রতি হালি মানিক কলার দাম ২৫ থেকে ৫০ টাকা, সাগর কলার দাম ৩০ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। যে কলার হালি নামাজের আগেও বিক্রি হয়েছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা, সেই কলার হালি নামাজের পর বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

পবিত্র রমজান মাসকে ঘিরে দাম বৃদ্ধির এমন অস্থিরতায় ইফতারির তালিকায় কলা রাখার ইচ্ছে মিটে গেছে অনেক ক্রেতার। রমজান মাসে কলার চাহিদা বাড়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ইচ্ছেমতো। কলা বুঝে হালিতে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। ফলে এই কলা কিনতে গিয়েই অনেকই হিমশিম খাচ্ছেন।

সান্তাহার পৌর শহরের রেলগেটে কলা কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে কলার দাম শুনে গেছি প্রতি হালি ৩০ টাকা। নামাজ শেষ করে কলা কিনে বাড়ি যাব ভেবে নামাজের পর এসে দাম শুনি প্রতি হালি ৫০ টাকা। নামাজের ব্যবধানেই প্রতি হালিতে ২০ টাকা বেড়ে গেল, এটা কি ভাবে মেনে নেওয়া যায়?

একাধিক কলা বিক্রেতা বলেন, কলার আড়তে দাম বাড়ার কারণে আমরা বেশি দামে কলা কিনছি। যার কারণে কলা বেশি দামে বিক্রয় করতে হচ্ছে। তবে নামাজের আগে কলার দাম ৩০ টাকা থাকলেও নামাজের পড় কলার দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি তারা অস্বীকার করে বলেন, দাম আরও আগেই বেড়েছে।