নরসিংদীতে আদালতের হাজতখানার বারান্দায় কেক কেটে হত্যা মামলার আসামি ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান নাহিদের জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। এ সময় তাকে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতেও দেখা যায়।
সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ ছাত্রদলের এক নেতাকে হত্যা মামলার আসামি হিসেবে কারাগারে আছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্রসহ প্রায় ৩০টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
নরসিংদী আদালত পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ৫ মার্চ কারাগার থেকে সিদ্দিকুর রহমানকে হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে আনা হয়েছিল। ওই দিন তাকে হাজতখানায় রাখার সময় কিছু পুলিশ সদস্যের সহায়তায় তার কিছু বন্ধু-সহযোগী কেক নিয়ে সেখানে যান। এরপর হাজতের বারান্দায় কেক কেটে তার জন্মদিন উদযাপনের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে জানা যায়, গত ৫ মার্চ সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের জন্মদিন ছিল।
গত ১৩ অক্টোবর ঢাকা থেকে অস্ত্রসহ নাহিদকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র সরকার। এর পর থেকে তিনি কারাগারে। শহরের জেলখানা মোড়ে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের মিছিলে জেলা ছাত্রদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ছাদেকুর রহমান ও তাঁর কর্মী আশরাফুলকে গুলি করে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি তিনি।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবি-ভিডিও ঘেঁটে দেখা গেছে, নাহিদের জন্মদিন উদযাপন করার জন্য বন্ধু, কর্মী ও সহযোগীদের কয়েকটি গ্রুপ কেকসহ আদালতের হাজতখানার সামনে উপস্থিত হন। পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় হাজতখানার ভেতরের বারান্দায় ঢুকে তারা নাহিদের জন্মদিন উদযাপন করেন। কেক কাটার পর তারা নাহিদের মুখে কেক তুলে দেন, নাহিদও তাদের মুখে কেক তুলে দেন। এ সময় তার বাম হাতে হাতকড়া পরানো ছিল।
কেক কাটার সময় নরসিংদী জেলা যুবদলের সদস্য ঝুম্মন পাল, মাধবদী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহাদাৎ রাজীব, মাধবদী থানা যুবদলের সদস্যসচিব অপু, নুরাল্লাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজগর আলীসহ অনেকে সেখানে ছিলেন।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হাজিরা দিতে গিয়ে আদালতের হাজতখানায় আসামির জন্মদিন উদযাপনের ঘটনাটি শুনেছি। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের দায়িত্বে কতটুকু অবহেলা ছিল, তা জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।