ঢাকা ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে বাধার মুখে ট্রাম্প Logo জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ১৬ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo এবার শাপলা প্রতীকের আরেক দাবিদারের আবেদন ইসিতে Logo ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়তে প্রস্তুত আনচেলত্তি Logo শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে ৭ কলেজের আন্দোলন স্থগিত Logo স্বর্নের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ২১৩৭১৯ টাকা Logo ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও দুর্নীতিবাজদের জায়গা থাকবে না’ Logo ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়তে প্রধান উপদেষ্টার ৬ প্রস্তাবনা Logo বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম Logo পুলিশ ফ্যাসিবাদী কায়দায় শিক্ষকদের ওপর হামলা করেছে-সাদিক কায়েম

চোরাই পণ্যসহ রাজধানীতে ১০ ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার

রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বাসা থেতে চোরাই ও চোরাচালানের মাধ্যমে দেশে আনা নানা পণ্যসহ ১০জন ভারতীয় ও ১ বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিবির লালবাগ জোনের উপকমিশনার মশিউর রহমান।

মশিউর রহমান জানান, এ সময় তাদের কাছ থেকে ভারতে চুরি হওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২১টি স্মার্টফোন, পাঁচটি ভারতীয় পাসপোর্ট, নগদ হাজার টাকাসহ বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও জেল, কসমেটিক্স, থ্রি পিস, শার্ট, জুতা ও স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ভারতীয় নাগরিকরা হলেন, রাজা শাও (৩৯), পঙ্খজ বিশ্বাস (৩৫), উৎপল মাইটি (২৫), সোনু বর্মন (২১), দীপঙ্কর ঘোষ (২৪), রাজু দাস (২২), সুজন দাস (২৭), এস কে আজগর আলী (২১), লারাইব আশ্রাব (২১) এবং সমরজিৎ দাস (৩০)। এরা সবাই দেশটির পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের বাসিন্দা। আর গ্রেপ্তার বাংলাদেশী ব্যবসায়ীর নাম মোঃ মুরাদ গাজী (২৮)।

মশিউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশি মুরাদ গাজী তার বোন ববিকে নিয়ে মধ্য বাড্ডায় নিজস্ব বাসায় দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে ভারতীয় কাপড়-চোপড়, জুতা স্যান্ডেল, তেল, সাবান, কসমেটিক্স, সেক্স পীল ও জেল বিক্রি করে আসছে। নিম্নমানের এই সমস্ত সামগ্রীগুলো বিক্রয় সংক্রান্ত বহু রশিদ এবং রশিদ বই পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার ভারতীয় এবং বাংলাদেশী ব্যবসায়ী স্বীকার করেছে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে যে সমস্ত মালামাল গুলো জব্দ করেছে তার কোনটাই বৈধ পথে আনা হয়নি।’

গ্রেপ্তার ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশে চুরি হওয়া মোবাইল ফোন ভারতে নিয়ে বিক্রি করত বলেও জানায় পুলিশ।

এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ভিনদেশী সামগ্রী চোরাই পথে বাংলাদেশে আনায় স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্টের সংশ্লিষ্ট ধারা এবং পাসপোর্ট/ভিসা ছাড়া বাংলাদেশের প্রবেশ করায় পাসপোর্ট আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলমান আছে বলেও জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে বাধার মুখে ট্রাম্প

চোরাই পণ্যসহ রাজধানীতে ১০ ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৩:০২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বাসা থেতে চোরাই ও চোরাচালানের মাধ্যমে দেশে আনা নানা পণ্যসহ ১০জন ভারতীয় ও ১ বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিবির লালবাগ জোনের উপকমিশনার মশিউর রহমান।

মশিউর রহমান জানান, এ সময় তাদের কাছ থেকে ভারতে চুরি হওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২১টি স্মার্টফোন, পাঁচটি ভারতীয় পাসপোর্ট, নগদ হাজার টাকাসহ বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও জেল, কসমেটিক্স, থ্রি পিস, শার্ট, জুতা ও স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ভারতীয় নাগরিকরা হলেন, রাজা শাও (৩৯), পঙ্খজ বিশ্বাস (৩৫), উৎপল মাইটি (২৫), সোনু বর্মন (২১), দীপঙ্কর ঘোষ (২৪), রাজু দাস (২২), সুজন দাস (২৭), এস কে আজগর আলী (২১), লারাইব আশ্রাব (২১) এবং সমরজিৎ দাস (৩০)। এরা সবাই দেশটির পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের বাসিন্দা। আর গ্রেপ্তার বাংলাদেশী ব্যবসায়ীর নাম মোঃ মুরাদ গাজী (২৮)।

মশিউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশি মুরাদ গাজী তার বোন ববিকে নিয়ে মধ্য বাড্ডায় নিজস্ব বাসায় দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে ভারতীয় কাপড়-চোপড়, জুতা স্যান্ডেল, তেল, সাবান, কসমেটিক্স, সেক্স পীল ও জেল বিক্রি করে আসছে। নিম্নমানের এই সমস্ত সামগ্রীগুলো বিক্রয় সংক্রান্ত বহু রশিদ এবং রশিদ বই পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার ভারতীয় এবং বাংলাদেশী ব্যবসায়ী স্বীকার করেছে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে যে সমস্ত মালামাল গুলো জব্দ করেছে তার কোনটাই বৈধ পথে আনা হয়নি।’

গ্রেপ্তার ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশে চুরি হওয়া মোবাইল ফোন ভারতে নিয়ে বিক্রি করত বলেও জানায় পুলিশ।

এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ভিনদেশী সামগ্রী চোরাই পথে বাংলাদেশে আনায় স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্টের সংশ্লিষ্ট ধারা এবং পাসপোর্ট/ভিসা ছাড়া বাংলাদেশের প্রবেশ করায় পাসপোর্ট আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলমান আছে বলেও জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।