ঢাকা ০৫:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমাদান মাসের পরিকল্পনা করেছেন তো?

  • আর. আমিন
  • আপডেট সময় ০১:২৫:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
  • 254

এ মাসের প্রতিটি দিনকে কাজে লাগানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা আমাদের সকলের কর্তব্য। আর রমাদানের প্রতিটি দিনকে কাজে লাগানোর সর্বোত্তম উপায় হতে

রমাদান কর্ম পরিকল্পনা

এবারের রমাদানটি হোক আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠতম রমাদান

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য, যিনি সারা বিশ্বজগতের প্রতিপালক। আমরা কেবল তাঁরই প্রশংসা করি, তাঁরই কাছে সাহায্য চাই, তাঁরই কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। আমরা সব ধরনের পাপাচার, অন্যায় ও অনাচার থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর কাছে করুণা ভিক্ষা চাই। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন, কেউ তাকে পথভ্রষ্ট করতে পারে না। আল্লাহ যাকে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করেন, কেউ তাকে হেদায়েত করতে পারে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই, মাবুদ নেই; আর হজরত মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষকে দিয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সুন্দর জীবনব্যবস্থা যার নাম ইসলাম। ইসলামের মৌলিক পাঁচটি বুনিয়াদের একটি রোজা। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ

قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ.

‘হে ইমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনিভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর: যাতে করে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (আল বাকারা-২: ১৮৩)

রমাদান মাসের প্রধান উদ্দেশ্য হলো তাকওয়া অবলম্বনের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা। এই মাসটি আমাদের জন্য আল্লাহ তাআলার নিকটবর্তী হওয়া

এবং তাঁর সাথে সম্পর্ক সুদৃঢ় করার সুবর্ণ সুযোগ। আল্লাহ আমাদের জানিয়েছেন-
كُلِّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ لَهُ إِلَّا الصِّيَامَ فَإِنَّهُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ

রোজা ব্যতীত আদম সন্তানের প্রতিটি কাজই তার নিজের জন্য, কিন্তু রোজা আমার জন্য। তাই আমি নিজেই এর প্রতিদান দেবো। (বুখারি: ১৭৮৩, মুসলিম: ২৫৭৭)

রোজার এই উপবাস ও কামনা বাসনা থেকে বিরত থাকা হলো আল্লাহভীতির একটি বহিঃপ্রকাশ যা আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি বড়ো প্রচেষ্টা। আমাদের চেষ্টা করতে হবে এই দিনগুলোকে যেন সর্বোচ্চ পরিমাণে কাজে লাগাতে পারি।

যে ব্যক্তি রমাদান মাস পেল কিন্তু গুনাহসমূহ মাফ করাতে পারল না রাসূল তাকে হতভাগা বলেছেন। এ মাসের প্রতিটি দিনকে কাজে লাগানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা আমাদের সকলের কর্তব্য। আর রমাদানের প্রতিটি দিনকে কাজে লাগানোর সর্বোত্তম উপায় হতে পারে একটি ‘রমাদান কর্মপরিকল্পনা’ প্রণয়ন করা। পরিকল্পনামাফিক কাজ না করতে পারলে মূলত কোনো কিছু করেই কাঙ্ক্ষিত সফলতা পাওয়া যায় না।

রমাদান শুরুর আগে সুন্দর একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করুন তাহলে আপনি নিজে কতটুকু সংশোধিত হতে পারলেন কিংবা ইবাদতের ব্যাপারে আপনার প্রত্যাশা কতটুকু আর আমল কতটুকু করতে পেরেছেন তা যাচাই করা সহজ হয়ে যাবে। এই কর্মপরিকল্পনাটি আপনাকে সাহায্য করবে রমাদানকে সর্বোত্তম উপায়ে কাজে লাগাতে। রমাদানের পবিত্র চেতনাকে গোটা মাস ধরে এমনকী রমাদান পরবর্তী বছরের বাকি সময়গুলোতেও ধরে রাখতে সহায়ক হবে এই পরিকল্পনা। মনে রাখবেন, রমাদান আপনাকে সেই বিশেষ সুযোগটি এনে দিয়েছে যাতে আপনি নির্ণয় করতে পারেন যে, দিন শেষে নিজেকে কতটা উন্নত করতে পেরেছেন।

আপনি যখন পৃষ্ঠাগুলো পূরণ করবেন, তখন প্রতিটি পৃষ্ঠার ওপর নিজের দৈনিক পর্যালোচনা ও অর্জন লিখতে ভুলবেন না। এই মাসের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য চেষ্টা করবেন যাতে অনেকগুলো কাজের ভার আপনার ঘাড়ে না এসে পড়ে; বরং আপনি দৈনিক যে লক্ষ্যগুলো নির্ধারণ করেছেন সেগুলো পূরণ করার জন্যই সময় ব্যয় করার চেষ্টা করুন। আল্লাহ তাআলা এই মাসে আমাদের অফুরন্ত নিয়ামত পাওয়ার যে সুযোগ করে দিয়েছেন তা অর্জন করার জন্য ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও একনিষ্ঠতা যাতে সবসময় সঠিকভাবে থাকে তা নিশ্চিত করুন।

মহান আল্লাহ এই রমাদানকে আমাদের জন্য কল্যাণকর, ইতিবাচক এবং শরীর ও আত্মার পরিশুদ্ধতার মাস হিসেবে কবুল করুন। আল্লাহ আমাদের মনের সব চাওয়া পূরণ করুন, সব ইবাদত কবুল করুন, আমাদের বলিষ্ঠ রাখুন এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ও আধ্যাত্মিকভাবে আগামী রমাদান অবধি উজ্জীবিত থাকার সুযোগ করে দিন।

আসুন, পরিকল্পনা শুরু করি।

আমার প্রত্যয়

আমি,…………………………………………………………………………………………………………………………. (নিজের নাম),

আমি অত্যন্ত একাগ্রচিত্তে ও গোপনে আমার প্রতিপালক মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাথে এই প্রতিজ্ঞা করছি যে আমি তাঁরই কাছে সাহায্য চাই, তিনি যেন আমাকে কবুল করেন। আমি যে কাজটুকুই করি, তা আমার নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি সবসময় আমার নিয়তকে বিশুদ্ধ রাখব। সেই সাথে, সব সময় আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চাইতে থাকব, যাতে আমি তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি।

আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে, নিজেকে অন্য কারও সাথে তুলনা করব না। আমি বিশ্বাস করি যে, প্রত্যেকের অবস্থান ভিন্ন। তাই আমি নিজেকে তখনই সফল মনে করব, যখন আজকের আমি গতকালের আমি থেকে উত্তম হতে পারব। এই রমাদানে নিজের চরিত্র উন্নয়নের মাধ্যমে আমি নিজেকে আরও ভালোভাবে তৈরি করব। প্রতিদিনই আত্ম-বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিজেকে উন্নত করব, অন্যকে ক্ষমা করব, খারাপ কাজগুলো থেকে বিরত থাকব এবং সুন্দর ও ইতিবাচক কিছু কাজ করব সেই সাথে নিজেকে সঠিক পথে ধরে রাখার জন্য আরও বেশি সচেষ্ট হব। আমি এই রমাদানে যা শিখব এবং অনুশীলন করব তা বছরের বাকি মাসগুলোতেও অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকব। আল্লাহ তাআলা যেন আমাকে সঠিক পথের দিশা দিয়ে সাহায্য করেন, যাতে করে রমাদানকে আমি গঠনমূলকভাবে কাজে লাগাতে পারি।

আমি যেন সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর সামনে নিজেকে সঁপে দিতে পারি, পরিপূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করতে পারি। আমিন।

আমি এই রমাদানে কী অর্জন করতে চাই?

(লিখে ফেলুন আপনার পরিকল্পনা)

দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা

চলবে…….

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনার

রমাদান মাসের পরিকল্পনা করেছেন তো?

আপডেট সময় ০১:২৫:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

রমাদান কর্ম পরিকল্পনা

এবারের রমাদানটি হোক আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠতম রমাদান

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য, যিনি সারা বিশ্বজগতের প্রতিপালক। আমরা কেবল তাঁরই প্রশংসা করি, তাঁরই কাছে সাহায্য চাই, তাঁরই কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। আমরা সব ধরনের পাপাচার, অন্যায় ও অনাচার থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর কাছে করুণা ভিক্ষা চাই। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন, কেউ তাকে পথভ্রষ্ট করতে পারে না। আল্লাহ যাকে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করেন, কেউ তাকে হেদায়েত করতে পারে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই, মাবুদ নেই; আর হজরত মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষকে দিয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সুন্দর জীবনব্যবস্থা যার নাম ইসলাম। ইসলামের মৌলিক পাঁচটি বুনিয়াদের একটি রোজা। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ

قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ.

‘হে ইমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনিভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর: যাতে করে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (আল বাকারা-২: ১৮৩)

রমাদান মাসের প্রধান উদ্দেশ্য হলো তাকওয়া অবলম্বনের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা। এই মাসটি আমাদের জন্য আল্লাহ তাআলার নিকটবর্তী হওয়া

এবং তাঁর সাথে সম্পর্ক সুদৃঢ় করার সুবর্ণ সুযোগ। আল্লাহ আমাদের জানিয়েছেন-
كُلِّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ لَهُ إِلَّا الصِّيَامَ فَإِنَّهُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ

রোজা ব্যতীত আদম সন্তানের প্রতিটি কাজই তার নিজের জন্য, কিন্তু রোজা আমার জন্য। তাই আমি নিজেই এর প্রতিদান দেবো। (বুখারি: ১৭৮৩, মুসলিম: ২৫৭৭)

রোজার এই উপবাস ও কামনা বাসনা থেকে বিরত থাকা হলো আল্লাহভীতির একটি বহিঃপ্রকাশ যা আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি বড়ো প্রচেষ্টা। আমাদের চেষ্টা করতে হবে এই দিনগুলোকে যেন সর্বোচ্চ পরিমাণে কাজে লাগাতে পারি।

যে ব্যক্তি রমাদান মাস পেল কিন্তু গুনাহসমূহ মাফ করাতে পারল না রাসূল তাকে হতভাগা বলেছেন। এ মাসের প্রতিটি দিনকে কাজে লাগানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা আমাদের সকলের কর্তব্য। আর রমাদানের প্রতিটি দিনকে কাজে লাগানোর সর্বোত্তম উপায় হতে পারে একটি ‘রমাদান কর্মপরিকল্পনা’ প্রণয়ন করা। পরিকল্পনামাফিক কাজ না করতে পারলে মূলত কোনো কিছু করেই কাঙ্ক্ষিত সফলতা পাওয়া যায় না।

রমাদান শুরুর আগে সুন্দর একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করুন তাহলে আপনি নিজে কতটুকু সংশোধিত হতে পারলেন কিংবা ইবাদতের ব্যাপারে আপনার প্রত্যাশা কতটুকু আর আমল কতটুকু করতে পেরেছেন তা যাচাই করা সহজ হয়ে যাবে। এই কর্মপরিকল্পনাটি আপনাকে সাহায্য করবে রমাদানকে সর্বোত্তম উপায়ে কাজে লাগাতে। রমাদানের পবিত্র চেতনাকে গোটা মাস ধরে এমনকী রমাদান পরবর্তী বছরের বাকি সময়গুলোতেও ধরে রাখতে সহায়ক হবে এই পরিকল্পনা। মনে রাখবেন, রমাদান আপনাকে সেই বিশেষ সুযোগটি এনে দিয়েছে যাতে আপনি নির্ণয় করতে পারেন যে, দিন শেষে নিজেকে কতটা উন্নত করতে পেরেছেন।

আপনি যখন পৃষ্ঠাগুলো পূরণ করবেন, তখন প্রতিটি পৃষ্ঠার ওপর নিজের দৈনিক পর্যালোচনা ও অর্জন লিখতে ভুলবেন না। এই মাসের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য চেষ্টা করবেন যাতে অনেকগুলো কাজের ভার আপনার ঘাড়ে না এসে পড়ে; বরং আপনি দৈনিক যে লক্ষ্যগুলো নির্ধারণ করেছেন সেগুলো পূরণ করার জন্যই সময় ব্যয় করার চেষ্টা করুন। আল্লাহ তাআলা এই মাসে আমাদের অফুরন্ত নিয়ামত পাওয়ার যে সুযোগ করে দিয়েছেন তা অর্জন করার জন্য ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও একনিষ্ঠতা যাতে সবসময় সঠিকভাবে থাকে তা নিশ্চিত করুন।

মহান আল্লাহ এই রমাদানকে আমাদের জন্য কল্যাণকর, ইতিবাচক এবং শরীর ও আত্মার পরিশুদ্ধতার মাস হিসেবে কবুল করুন। আল্লাহ আমাদের মনের সব চাওয়া পূরণ করুন, সব ইবাদত কবুল করুন, আমাদের বলিষ্ঠ রাখুন এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ও আধ্যাত্মিকভাবে আগামী রমাদান অবধি উজ্জীবিত থাকার সুযোগ করে দিন।

আসুন, পরিকল্পনা শুরু করি।

আমার প্রত্যয়

আমি,…………………………………………………………………………………………………………………………. (নিজের নাম),

আমি অত্যন্ত একাগ্রচিত্তে ও গোপনে আমার প্রতিপালক মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাথে এই প্রতিজ্ঞা করছি যে আমি তাঁরই কাছে সাহায্য চাই, তিনি যেন আমাকে কবুল করেন। আমি যে কাজটুকুই করি, তা আমার নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি সবসময় আমার নিয়তকে বিশুদ্ধ রাখব। সেই সাথে, সব সময় আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চাইতে থাকব, যাতে আমি তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি।

আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে, নিজেকে অন্য কারও সাথে তুলনা করব না। আমি বিশ্বাস করি যে, প্রত্যেকের অবস্থান ভিন্ন। তাই আমি নিজেকে তখনই সফল মনে করব, যখন আজকের আমি গতকালের আমি থেকে উত্তম হতে পারব। এই রমাদানে নিজের চরিত্র উন্নয়নের মাধ্যমে আমি নিজেকে আরও ভালোভাবে তৈরি করব। প্রতিদিনই আত্ম-বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিজেকে উন্নত করব, অন্যকে ক্ষমা করব, খারাপ কাজগুলো থেকে বিরত থাকব এবং সুন্দর ও ইতিবাচক কিছু কাজ করব সেই সাথে নিজেকে সঠিক পথে ধরে রাখার জন্য আরও বেশি সচেষ্ট হব। আমি এই রমাদানে যা শিখব এবং অনুশীলন করব তা বছরের বাকি মাসগুলোতেও অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকব। আল্লাহ তাআলা যেন আমাকে সঠিক পথের দিশা দিয়ে সাহায্য করেন, যাতে করে রমাদানকে আমি গঠনমূলকভাবে কাজে লাগাতে পারি।

আমি যেন সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর সামনে নিজেকে সঁপে দিতে পারি, পরিপূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করতে পারি। আমিন।

আমি এই রমাদানে কী অর্জন করতে চাই?

(লিখে ফেলুন আপনার পরিকল্পনা)

দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা

চলবে…….