বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের নতুন মূল্য নির্ধারণ করতে যাচ্ছে সরকার। আজ জারি হতে পারে চলতি মাসের দামের প্রজ্ঞাপন। এ দফায় পেট্রোল ও অকটেনের দাম লিটারে ১৫ টাকা এবং ডিজেলের দাম লিটারে কমতে পারে ৫ টাকা।
খুচরা পর্যায়ে বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম রয়েছে ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১২৫ টাকা ও অকটেনের দাম ১৩০ টাকা। জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নতুন মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ডিজেলের ৫ টাকা ও পেট্রোল-অকটেনের দাম ১৫ টাকা কমে যথাক্রমে ১১০ টাকা ও ১১৫ টাকা নির্ধারণ হতে পারে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকা প্রকাশ করে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রোল ব্যক্তিগত যানবাহনে অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাস দ্রব্য হিসেবে সবসময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রোলের দাম বেশি রাখা হয়।
যদিও গত সেপ্টেম্বরে স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চালুর কথা বলা হয়। তবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য তা পিছিয়ে নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে জ্বালানি তেলের নতুন মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকতা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই তা কার্যকর করা হবে। এখন থেকে প্রতি মাসেই জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করা হবে।
গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে গ্রাহকদের জ্বালানি দিতে চাই। আগামীকাল থেকেই জ্বালানি তেলের দামে একটা পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। এরপর থেকে প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহে দাম নির্ধারণ করা হবে। স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা চালু করতে পারলে খরচ কমে আসবে। বিশ্ববাজারে যদি কোনো পরিবর্তন না হয়, তাহলে তেলের ক্ষেত্রে দাম আরো কমে আসবে।