ঢাকা ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীজুড়ে রেস্টুরেন্টে নজর রাখা হচ্ছে: ডিবি হারুন

রাজধানীর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও নজর রাখছে। যেসব রেস্টুরেন্টে অগ্নিঝুঁকি রয়েছে এবং নিরাপত্তা নেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশর (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

বেইলি রোডের ঘটনা উল্লেখ করে ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে নিহতের তালিকায় আমাদের একজন পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে বুয়েটের শিক্ষার্থী রয়েছেন। এ ঘটনায় ৪৬ জন নিহত হন। এই এক আগুনে কত মায়ের কোল খালি হয়েছে। যার সন্তান মারা যায় সেই শোক বোঝেন।

তিনি আরও বলেন, মানুষ মারা যাওয়ার পর শোক করি, কান্না করি, জ্ঞান দেই। আসলে আমাদের প্রতিটি সংস্থার যে দায়িত্ব আছে, সেগুলো যদি আমরা পালন করতাম, তাহলে এমন ঘটনা হয়তো ঘটতো না। তাই এখন আমরা প্রতিটি রেস্টুরেন্টে খোঁজ নিচ্ছি।

যেসব রেস্টুরেন্টে অনিয়ম রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে উল্লেখ করে ডিবিপ্রধান বলেন, ঢাকা শহরে এমন কোনো রেস্টুরেন্ট আছে কি না যেগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তা মানা হচ্ছে না, দ্রুত বের হওয়ার রাস্তা আছে কি না, বাতাস চলাচলের রাস্তা আছে কি না- আমরা সবকিছুর খোঁজ নিচ্ছি। কোনো অনিয়ম পেলে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো এবং পুলিশের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, এমন দুর্ঘটনার পেছনে গাফিলতি থাকেই। ঘটনা ঘটার পর আমরা গাফিলতি খুঁজি। নিয়ম-কানুন না মেনে যত্রতত্রভাবে ভবন বানানো হচ্ছে। এসব ভবনের খোঁজ-খবর যদি আগে থেকে নিয়ে রাখা হতো তাহলে এমন ঘটনা ঘটতো না। বঙ্গবাজার, নিমতলী, বনানীর এফআর টাওয়ারে মতো এমন ঘটনা বারবার ঘটতো না।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজধানীজুড়ে রেস্টুরেন্টে নজর রাখা হচ্ছে: ডিবি হারুন

আপডেট সময় ০৭:০০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

রাজধানীর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও নজর রাখছে। যেসব রেস্টুরেন্টে অগ্নিঝুঁকি রয়েছে এবং নিরাপত্তা নেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশর (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

বেইলি রোডের ঘটনা উল্লেখ করে ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে নিহতের তালিকায় আমাদের একজন পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে বুয়েটের শিক্ষার্থী রয়েছেন। এ ঘটনায় ৪৬ জন নিহত হন। এই এক আগুনে কত মায়ের কোল খালি হয়েছে। যার সন্তান মারা যায় সেই শোক বোঝেন।

তিনি আরও বলেন, মানুষ মারা যাওয়ার পর শোক করি, কান্না করি, জ্ঞান দেই। আসলে আমাদের প্রতিটি সংস্থার যে দায়িত্ব আছে, সেগুলো যদি আমরা পালন করতাম, তাহলে এমন ঘটনা হয়তো ঘটতো না। তাই এখন আমরা প্রতিটি রেস্টুরেন্টে খোঁজ নিচ্ছি।

যেসব রেস্টুরেন্টে অনিয়ম রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে উল্লেখ করে ডিবিপ্রধান বলেন, ঢাকা শহরে এমন কোনো রেস্টুরেন্ট আছে কি না যেগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তা মানা হচ্ছে না, দ্রুত বের হওয়ার রাস্তা আছে কি না, বাতাস চলাচলের রাস্তা আছে কি না- আমরা সবকিছুর খোঁজ নিচ্ছি। কোনো অনিয়ম পেলে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো এবং পুলিশের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, এমন দুর্ঘটনার পেছনে গাফিলতি থাকেই। ঘটনা ঘটার পর আমরা গাফিলতি খুঁজি। নিয়ম-কানুন না মেনে যত্রতত্রভাবে ভবন বানানো হচ্ছে। এসব ভবনের খোঁজ-খবর যদি আগে থেকে নিয়ে রাখা হতো তাহলে এমন ঘটনা ঘটতো না। বঙ্গবাজার, নিমতলী, বনানীর এফআর টাওয়ারে মতো এমন ঘটনা বারবার ঘটতো না।