ঢাকা ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিরাপদে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ঘুরে ভারতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার স্প্যানিশ পর্যটক

পাকিস্তান ঘুরে এসেছিলেন বাংলাদেশে। দুই দেশেই নিরাপদে ঘোরার পর যান ভারতে। সেখান থেকে বিহার হয়ে যাওয়ার কথা ছিল নেপালে। কিন্তু তার আগেই শুক্রবার (১ মার্চ) ভারতের ঝাড়খণ্ডে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক স্প্যানিশ নারী (৩০)।

এনডিটিভিসহ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে এশিয়া ভ্রমণে বের হয়েছিলেন স্পেনের ওই নারী। কিন্তু পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ঘুরে ভারতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, সাতজন মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এর মধ্যে তিনজনকে শনিবার (২ মার্চ) গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, শুক্রবার স্প্যানিশ ওই পর্যটক দম্পতি মোটরসাইকেলে করে দুমকা হয়ে বিহারের ভাগলপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে রাতে জেলার হান্সদিহা এলাকায় তাঁবুতে রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে গণধর্ষণের শিকার হন ওই নারী। এসময় ওই দম্পতিকে মারধরও করা হয়।

দুমকার পুলিশ সুপার পিতাম্বর সিং খায়েরওয়ার বলেন, ‘ওই দম্পতি পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসার পর ঝাড়খণ্ডের দিয়ে নেপালের দিকে যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা হওয়ায় তারা বিশ্রাম নিতে থামেন এবং দুমকার কুঞ্জি গ্রামে একটি অস্থায়ী তাঁবু স্থাপন করেন। নেপাল যাত্রায় তাদের বিহারের ভাগলপুর যাওয়ার কথা ছিল। পরে রাতে টহল পুলিশ ওই নারী ও তার স্বামীকে প্রধান সড়ক থেকে উদ্ধার করে।’

তিনি আরও জানান, ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদেরও নিয়োগ করা হয়েছে।

স্পেনের ওই নারী বর্তমানে সরিয়াহাট কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের (সিএইচসি) একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে, এমন ঘটনার পর ভারতজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। দেশটিতে এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন অনেকেই।

জনপ্রিয় সংবাদ

নিরাপদে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ঘুরে ভারতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার স্প্যানিশ পর্যটক

আপডেট সময় ০৫:৩৩:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

পাকিস্তান ঘুরে এসেছিলেন বাংলাদেশে। দুই দেশেই নিরাপদে ঘোরার পর যান ভারতে। সেখান থেকে বিহার হয়ে যাওয়ার কথা ছিল নেপালে। কিন্তু তার আগেই শুক্রবার (১ মার্চ) ভারতের ঝাড়খণ্ডে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক স্প্যানিশ নারী (৩০)।

এনডিটিভিসহ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে এশিয়া ভ্রমণে বের হয়েছিলেন স্পেনের ওই নারী। কিন্তু পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ঘুরে ভারতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, সাতজন মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এর মধ্যে তিনজনকে শনিবার (২ মার্চ) গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, শুক্রবার স্প্যানিশ ওই পর্যটক দম্পতি মোটরসাইকেলে করে দুমকা হয়ে বিহারের ভাগলপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে রাতে জেলার হান্সদিহা এলাকায় তাঁবুতে রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে গণধর্ষণের শিকার হন ওই নারী। এসময় ওই দম্পতিকে মারধরও করা হয়।

দুমকার পুলিশ সুপার পিতাম্বর সিং খায়েরওয়ার বলেন, ‘ওই দম্পতি পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসার পর ঝাড়খণ্ডের দিয়ে নেপালের দিকে যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা হওয়ায় তারা বিশ্রাম নিতে থামেন এবং দুমকার কুঞ্জি গ্রামে একটি অস্থায়ী তাঁবু স্থাপন করেন। নেপাল যাত্রায় তাদের বিহারের ভাগলপুর যাওয়ার কথা ছিল। পরে রাতে টহল পুলিশ ওই নারী ও তার স্বামীকে প্রধান সড়ক থেকে উদ্ধার করে।’

তিনি আরও জানান, ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদেরও নিয়োগ করা হয়েছে।

স্পেনের ওই নারী বর্তমানে সরিয়াহাট কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের (সিএইচসি) একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে, এমন ঘটনার পর ভারতজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। দেশটিতে এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন অনেকেই।