বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, যে মানুষটি আজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন তাকে আজ গৃহবন্দি করে রেখেছে। তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।
আমরা আশা করি খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তার পরিবার বিদেশে পাঠানোর যে আবেদন করেছে, সরকার তা বাস্তবায়ন করবে। তিনি বলেন, সমগ্র দেশের মানুষ যখন এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে তখন এই মহিলা সমাবেশ আমাদের আরো সাহস যুগিয়েছে। আজকে এই সরকারের অত্যাচার থেকে মা-বোনরা রক্ষা পাননি। সাইবার সিকিউরিটি আইনের নামে আটক করা হচ্ছে মা-বোনদের।আজকে সত্য লেখার অপরাধে মা-বোনদের পিটিয়ে মারা হচ্ছে। এ সরকারের আমলে আজ কেউ নিরাপদ নয়। প্রতিটি দ্রব্যমূল্য আজ আকাশচুম্বী। সরকারের বেঁধে দেওয়া দর কেউ মানছে।
সব জায়গায় আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট। সংসার চালাতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। আওয়ামী লীগ জনগণ দ্বারা নির্বাচিত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া মেয়েদের দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পড়ার ব্যবস্থা করেছেন, চাকরির ক্ষেত্রে মেয়েদের কোটা প্রথা চালু করেছেন। আজকে এ সরকার গায়ের জোরে সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে। গণতন্ত্র ও দেশ ধ্বংস করে ফেলছে।
তারা মানুষের কথা চিন্তা করছে না। মানুষের দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার এরা চায় না। এ সরকার যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশের স্বাধীনতা থাকবে না। তাই আসুন সব নারী-পুরুষ ঐক্যবদ্ধ হই। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই একদলীয় বাকশালী সরকারকে বিদায় করে জনগণের রাষ্ট্র কায়েম করি। মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা আক্তার রিতা, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মহিলা দল নেত্রী হেলেন জেরেন খান প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম প্রমুখ।