ঢাকা ১০:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাইজারে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের হামলায় ১২ সেনা নিহত

নাইজারে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের হামলায় ১২ সেনা নিহত

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের হামলায় অন্তত ১২জন সেনা নিহত হয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এই তথ্য। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। শত শত বিদ্রোহীরা মোটরসাইকেলে করে এই হামলা চালায়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের হামলার জেরে সৃষ্ট লড়াইয়ে ৭ সেনা নিহত হয়েছে এবং অন্য ৫ জন হামলার শিকার ইউনিটকে সাহায্য করার জন্য যাওয়ার পথে নিহত হয়। মূলত হামলার শিকার ইউনিটকে শক্তিশালী করার জন্য ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে পড়লে ওই ৫ জন নিহত হন।

হামলাটি ঘটেছে রাজধানী নিয়ামে থেকে প্রায় ১৯০ কিলোমিটার (১১৮ মাইল) দূরে কান্দাদজিতে। এই এলাকাটি মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারের সীমান্ত অঞ্চলের কাছে, যেখানে গত কয়েক বছরে সাহেল অঞ্চলে ইসলামি বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল। এর আগে বৃহস্পতিবার, নাম প্রকাশ না করে একজন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাসহ তিনটি সূত্র সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, হামলায় কমপক্ষে ১০ সেনা নিহত হয়েছে। এই হামলার জন্য করা দায়ি তা কোনো সূত্র বা দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়নি। আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় সহযোগীরা এই অঞ্চলে সক্রিয়। তারা সেনা ও বেসামরিকদের ওপর ঘন ঘন আক্রমণ চালায়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, এই ঘটনায় প্রায় ১০০ বিদ্রোহী নিহত হয়েছে এবং তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও অস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া দুটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, সেনাবাহিনী স্থল সেনাদের পাশাপাশি হেলিকপ্টার দিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালায়। একটি হেলিকপ্টার আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল কিন্তু ঘাঁটিতে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছিল। নাইজারে জান্তা সরকার গত জুলাই মাসে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। প্রতিবেশী মালি এবং বুরকিনা ফাসোতে গত তিন বছরে দুটি করে অভ্যুত্থান হয়েছে।

চলতি বছরের আগস্টের মাঝামাঝি দক্ষিণ-পশ্চিম নাইজারে আরেকটি হামলায় অন্তত ১৭ সেনা নিহত হয়েছিল। এদিকে ফ্রান্স রবিবার বলেছে, তারা বছরের শেষের আগেই নাইজার থেকে তাদের এক হাজার ৫০০ সেনা প্রত্যাহার করবে। দেশটির জান্তা সরকার থেকে কয়েক সপ্তাহের ধরে ফ্রান্সের ওপর চাপ দিয়ে আসছিল। প্রাক্তন এই ঔপনিবেশিক শাসকের বিরুদ্ধে নাইজারের মানুষ বিক্ষোভও শুরু করে। এরপরেই ফ্রান্স এই সিন্ধান্ত নেয়। ফ্রান্সের সেনারা সেখানে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুমের সঙ্গে জড়িত কেউ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: প্রেস সচিব

নাইজারে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের হামলায় ১২ সেনা নিহত

আপডেট সময় ১২:৩৩:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের হামলায় অন্তত ১২জন সেনা নিহত হয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এই তথ্য। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। শত শত বিদ্রোহীরা মোটরসাইকেলে করে এই হামলা চালায়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের হামলার জেরে সৃষ্ট লড়াইয়ে ৭ সেনা নিহত হয়েছে এবং অন্য ৫ জন হামলার শিকার ইউনিটকে সাহায্য করার জন্য যাওয়ার পথে নিহত হয়। মূলত হামলার শিকার ইউনিটকে শক্তিশালী করার জন্য ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে পড়লে ওই ৫ জন নিহত হন।

হামলাটি ঘটেছে রাজধানী নিয়ামে থেকে প্রায় ১৯০ কিলোমিটার (১১৮ মাইল) দূরে কান্দাদজিতে। এই এলাকাটি মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারের সীমান্ত অঞ্চলের কাছে, যেখানে গত কয়েক বছরে সাহেল অঞ্চলে ইসলামি বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল। এর আগে বৃহস্পতিবার, নাম প্রকাশ না করে একজন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাসহ তিনটি সূত্র সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, হামলায় কমপক্ষে ১০ সেনা নিহত হয়েছে। এই হামলার জন্য করা দায়ি তা কোনো সূত্র বা দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়নি। আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় সহযোগীরা এই অঞ্চলে সক্রিয়। তারা সেনা ও বেসামরিকদের ওপর ঘন ঘন আক্রমণ চালায়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, এই ঘটনায় প্রায় ১০০ বিদ্রোহী নিহত হয়েছে এবং তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও অস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া দুটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, সেনাবাহিনী স্থল সেনাদের পাশাপাশি হেলিকপ্টার দিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালায়। একটি হেলিকপ্টার আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল কিন্তু ঘাঁটিতে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছিল। নাইজারে জান্তা সরকার গত জুলাই মাসে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। প্রতিবেশী মালি এবং বুরকিনা ফাসোতে গত তিন বছরে দুটি করে অভ্যুত্থান হয়েছে।

চলতি বছরের আগস্টের মাঝামাঝি দক্ষিণ-পশ্চিম নাইজারে আরেকটি হামলায় অন্তত ১৭ সেনা নিহত হয়েছিল। এদিকে ফ্রান্স রবিবার বলেছে, তারা বছরের শেষের আগেই নাইজার থেকে তাদের এক হাজার ৫০০ সেনা প্রত্যাহার করবে। দেশটির জান্তা সরকার থেকে কয়েক সপ্তাহের ধরে ফ্রান্সের ওপর চাপ দিয়ে আসছিল। প্রাক্তন এই ঔপনিবেশিক শাসকের বিরুদ্ধে নাইজারের মানুষ বিক্ষোভও শুরু করে। এরপরেই ফ্রান্স এই সিন্ধান্ত নেয়। ফ্রান্সের সেনারা সেখানে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল।