ঢাকা ০৮:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: আটক ৩

বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: আটক ৩

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। আটক তিনজন হলেন ওই ভবনে ‘চুমুক’ নামে একটি খাবার দোকানের দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান এবং ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেস্টের ব্যবস্থাপক জয়নুদ্দিন জিসান।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।

মহিদ উদ্দিন বলেন, আগুনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিচ তলায় দুটি খাবারের রেস্টুরেন্ট ছিল, পেছনের দিকে বড় এবং সামনের দিকে ছিল হালকা চা কফির ছোট্ট রেস্টুরেন্ট। ছোট্ট রেস্টুরেন্ট থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সেই ভিডিও ফুটেজ সবার কাছে রয়েছে। আগুনের ঘটনায় অবহেলা জনিত কারণে মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবে। ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ মামলা করতে চাইলে মামলা করতে পারবেন।

এ ঘটনায় পুলিশ ও সিআইডি আলামত সংগ্রহ করেছে উল্লেখ করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থলে আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ভবনগুলোতে এত গ্যাস সিলিন্ডার কোথা থেকে এলো এবং অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কীভাবে হলো এসব বিষয় আমরা পরিষ্কার হবো। সেভাবেই তদন্ত চলছে, আশা করি তদন্তেই আগুনের প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।

মর্মান্তিক এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে মহিদ উদ্দিন বলেন, তাদের মধ্যে ১৮ জন নারী ও আটজন শিশু আছে। এর মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। ৩৮ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুটি মরদেহ মর্গের ফ্রিজে রাখা হয়েছে। অন্য ছয়টি মরদেহে পরিচয় নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ চালু করলো পাকিস্তান

বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: আটক ৩

আপডেট সময় ১০:৩৮:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। আটক তিনজন হলেন ওই ভবনে ‘চুমুক’ নামে একটি খাবার দোকানের দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান এবং ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেস্টের ব্যবস্থাপক জয়নুদ্দিন জিসান।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।

মহিদ উদ্দিন বলেন, আগুনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিচ তলায় দুটি খাবারের রেস্টুরেন্ট ছিল, পেছনের দিকে বড় এবং সামনের দিকে ছিল হালকা চা কফির ছোট্ট রেস্টুরেন্ট। ছোট্ট রেস্টুরেন্ট থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সেই ভিডিও ফুটেজ সবার কাছে রয়েছে। আগুনের ঘটনায় অবহেলা জনিত কারণে মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবে। ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ মামলা করতে চাইলে মামলা করতে পারবেন।

এ ঘটনায় পুলিশ ও সিআইডি আলামত সংগ্রহ করেছে উল্লেখ করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থলে আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ভবনগুলোতে এত গ্যাস সিলিন্ডার কোথা থেকে এলো এবং অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কীভাবে হলো এসব বিষয় আমরা পরিষ্কার হবো। সেভাবেই তদন্ত চলছে, আশা করি তদন্তেই আগুনের প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।

মর্মান্তিক এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে মহিদ উদ্দিন বলেন, তাদের মধ্যে ১৮ জন নারী ও আটজন শিশু আছে। এর মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। ৩৮ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুটি মরদেহ মর্গের ফ্রিজে রাখা হয়েছে। অন্য ছয়টি মরদেহে পরিচয় নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।