বিদ্যুতের দাম খুচরা পর্যায়ে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ ও পাইকারি পর্যায়ে ৫ দশমিক ০৭৪ শতাংশ বাড়ছে। গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ছে ৩৪ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা। নতুন দাম ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, দাম বাড়িয়ে আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি গেজেট জারি হবে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিচের দিকে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম ৩৪ পয়সা বাড়ছে, ওপরের দিকে ৭০ পয়সা বাড়বে। অর্থাৎ নিচের দিকে ৫ শতাংশ বাড়বে। ওপরের দিকে সাড়ে ৮ শতাংশের মতো।
তিনি বলেন, মাসের শেষ হয়ত ১০০ টাকায় ৫ থেকে ৮ টাকা বাড়তে পারে। আমাদের প্রতি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ প্রায় ১২ টাকা। ৭ থেকে ৮ টাকা ছিল এটা। আমরা গড়ে প্রতি ইউনিট বিক্রি করছি ৭ টাকায়। সমন্বয়টা উপরের দিকে বেশি করছি, নিচের দিকে কম করছি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ডাইনামিক প্রাইসে তেলের দাম নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ১ মার্চ থেকে সেটা কার্যকর করা শুরু হবে। বিদ্যুতের দাম যেটা বেড়েছে, সেটা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করা হবে। আমরা জ্বালানির দাম সমন্বয় করেছি বিদ্যুতে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো যে দামে গ্যাস নিত, সেখানে আমরা ৭০ পয়সার মতো সমন্বয় করেছি। তেলের দামও ডায়নামিক প্রাইসে নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এভাবে গ্যাসের দামও ডলারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হচ্ছে আমাদের। গ্যাস আমদানি সহনীয় পর্যায়ে। আমরা যদি গ্যাসের সঙ্গে এটা মিক্সড করি, তাহলে ২৪ টাকার ওপরে পড়ে যায়। এই গ্যাস সারকে দিচ্ছি ১৬ টাকা রেটে, বিদ্যুৎকে দিচ্ছি ১৪ টাকা রেটে, যে কারণে গ্যাসের দাম ১৪ টাকা ৭০ পয়সা করা হয়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, কয়লা, তেল ও গ্যাসসহ জ্বালানি আমরা যে দামে কিনতাম, সেখানে একটা ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। গত বছরে মারাত্মকভাবে এই পরিবর্তন হয়েছে। এ কারণে ডলারের সঙ্গে জ্বালানির দাম সমন্বয় করার চিন্তা-ভাবনা করছিলাম। জ্বালানির ব্যাপারে একটা ডায়নামিক প্রাইসের দিকে যাচ্ছি। এটা ১ মার্চ থেকে শুরু হবে। কাল-পরশুর মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।