ঢাকা ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাবিতে ভাষা আন্দোলন জাদুঘর দেখতে চান প্রধান বিচারপতি

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ১০:৩০:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 134

ঢাবিতে ভাষা আন্দোলন জাদুঘর দেখতে চান প্রধান বিচারপতি

ভাষা আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অবদান। এই অবদান সংরক্ষণ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। নিজের জীবদ্দশায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গণে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি বহন করা একটি জাদুঘর দেখে যেতে চান এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অবদান। এই অবদান সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলএলএম লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুলা) আয়োজিত ফোক ফেস্ট ও শীতকালীন পিঠা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত (ডুলার) আইনজীবীদের আয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনের চত্বরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ আলী আহমেদ খোকনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিভাগের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান প্রমূখ।

উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপি, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম এমপি, সাবকে প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সম্পাদক আব্দুন নুর দুলাল এবং সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা।

প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা ভাষার মাস। এই মাসে আমরা অনেক অনুষ্ঠান করে থাকি। এই অনুষ্ঠানগুলো আমরা বাংলায় করি। বাংলায় কথা বলার ওপর একটি চাপ আছে। বিশেষ করে আমরা যারা এই আইন অঙ্গণে আছি তাদের ওপর একটি বাড়তি চাপ আছে। উচ্চতর আদালতে কেন বাংলা ভাষা প্রচলন নেই বা বাংলা ভাষা কম কেন, সেই প্রশ্নেরও সম্মুখীন হতে হয়।

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়ানোর। আমাদের বন্ধুরা অনেকেই বাংলা ভাষায় রায় দেওয়ারও চেষ্টা করছেন। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, একটি অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে আমি বলেছিলাম, ভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা থেকে। ভাষা আন্দোলনের মিটিং হয়েছিল বর্তমান জহুরুল হক হলের পুকুর পার থেকে।

সেই ঢাকা বিশবিদ্যালয়ের কি কোনো জাদুঘর আছে? আমি কিছুদিন আগে দেখে এসেছি। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের ওপর ভিত্তি করে পাঞ্জাবের অমৃতসর একটি জাদুঘর করা হয়েছে। যেখানে গেলে মনে হয় আমি ১৯৪৭ সালে ফিরে গেছি। ঠিক একইভাবে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি জাদুঘর করা হোক। যেখানে গেলে মনে হবে আমি মনে হয় ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাস্তায় স্লোগান দিচ্ছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন

ঢাবিতে ভাষা আন্দোলন জাদুঘর দেখতে চান প্রধান বিচারপতি

আপডেট সময় ১০:৩০:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ভাষা আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অবদান। এই অবদান সংরক্ষণ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। নিজের জীবদ্দশায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গণে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি বহন করা একটি জাদুঘর দেখে যেতে চান এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অবদান। এই অবদান সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলএলএম লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুলা) আয়োজিত ফোক ফেস্ট ও শীতকালীন পিঠা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত (ডুলার) আইনজীবীদের আয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনের চত্বরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ আলী আহমেদ খোকনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিভাগের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান প্রমূখ।

উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপি, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম এমপি, সাবকে প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সম্পাদক আব্দুন নুর দুলাল এবং সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা।

প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা ভাষার মাস। এই মাসে আমরা অনেক অনুষ্ঠান করে থাকি। এই অনুষ্ঠানগুলো আমরা বাংলায় করি। বাংলায় কথা বলার ওপর একটি চাপ আছে। বিশেষ করে আমরা যারা এই আইন অঙ্গণে আছি তাদের ওপর একটি বাড়তি চাপ আছে। উচ্চতর আদালতে কেন বাংলা ভাষা প্রচলন নেই বা বাংলা ভাষা কম কেন, সেই প্রশ্নেরও সম্মুখীন হতে হয়।

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়ানোর। আমাদের বন্ধুরা অনেকেই বাংলা ভাষায় রায় দেওয়ারও চেষ্টা করছেন। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, একটি অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে আমি বলেছিলাম, ভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা থেকে। ভাষা আন্দোলনের মিটিং হয়েছিল বর্তমান জহুরুল হক হলের পুকুর পার থেকে।

সেই ঢাকা বিশবিদ্যালয়ের কি কোনো জাদুঘর আছে? আমি কিছুদিন আগে দেখে এসেছি। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের ওপর ভিত্তি করে পাঞ্জাবের অমৃতসর একটি জাদুঘর করা হয়েছে। যেখানে গেলে মনে হয় আমি ১৯৪৭ সালে ফিরে গেছি। ঠিক একইভাবে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি জাদুঘর করা হোক। যেখানে গেলে মনে হবে আমি মনে হয় ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাস্তায় স্লোগান দিচ্ছি।