টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে স্কুল থেকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত হযরত আলী (৭৫) উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার হযরত আলীর বিরুদ্ধে ধনবাড়ী থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ও ভুক্তভোগী পরিবার একই ইউনিয়নের বাসিন্দা। পরিবারটি দরিদ্র হওয়ায় ওই বাড়িতে বিভিন্ন সহযোগিতার কথা বলে প্রায় সময়ই যাওয়া-আসা করতেন হযরত আলী। বিভিন্নভাবে প্রলোভনও দেখাতেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান চলাকালে ওই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে যান হযরত।
ঘটনার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মেয়ের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় ওই ছাত্রীর পরিবার গত ২০ ফেব্রুয়ারি ধনবাড়ী থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে হযরত আলীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৭৭ বছর বয়সে ১৪ বছর বয়সের এক কিশোরীকে বিয়ের ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এলাকাজুড়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এমন কাণ্ডে চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করেছেন তারা।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, ‘আমরা গরিব হওয়ায় সহযোগিতার কথা বলে হযরত আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। তাকে সরল মনে বিশ্বাস করেছি। মেয়েকে তুলে নিয়ে জোর করে বিয়ে করেছে। অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। তার কঠিন বিচার দাবি করছি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য তোফাজ্জল হোসেন বলেন, সাবেক চেয়রম্যান ওই কিশোরীকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বয়স বাড়িয়ে বিয়ে করেছেন এমন খবর শুনেছি।
ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হযরত আলীর মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।