পিরোজপুরে জেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগের সভাপতি ফয়সাল আকনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে শহরতলীর নামাজপুরে ইমরুল কায়েসের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ বিচারের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ সময় সন্ত্রাসীদের মদদদাতাসহ দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে তারা। ফয়সাল আকন মধ্য নামাজপুর মোফাজ্জেল আকনের ছেলে।
ফয়সালের পারিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফয়সাল বাড়ি থেকে বের হওয়া মাত্রই স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম আউয়ালের ঈগল প্রতীকের সমর্থক (ক্যাডার) সাইদুল ফরাজি, মিজান, সাইদুল ফকির ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী জামালসহ আরও ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায়। ঘটনার পর এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফয়সালকে খুলনায় পাঠিয়ে দেন।
জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক আরিফ হাসান জানান, রোগীর অবস্থা যথেষ্ট সংকটাপন্ন। তার মাথা, গাল, পিঠের নিচে থেকে পাকস্থলির কিছু অংশ বের হয়ে এসেছে। ডান হাতের পেশি পুরাপুরি কেটে গেছে। বাম হাতের তর্জনীর মাঝখানের অংশটা সম্পূর্ণ পড়ে গেছে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমরা প্রথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে খুলনা পাঠিয়েছি।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর সদর থানার ওসি তদন্ত মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভিকটিমের বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। আসামি গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।