৪র্থ আন্তর্জাতিক কুদস সপ্তাহ উপলক্ষ্যে ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক “গাজ্জায় গণহত্যার ইতিবৃত্ত : মানবতার দায়” বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৮ই ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়াটিক সোসাইটি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তুরস্ক দুতাবাসের রিলিজিয়াস এফেয়ার্স বিষয়ক কো-অর্ডিনেটর ওজগুর ওজইউরেক। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চেয়ারমান অধ্যাপক যুবায়ের মোহাম্মদ এহসানুল এবং কবি আবদুল হাই শিকদার, ফিলিস্তিন উলামা পরিষদের বাংলাদেশী কো-অর্ডিনেটর ও ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশন ‘ র চেয়ারম্যান মুহাইমিনুল হাসান রিয়াদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম অপু। সভায় সঞ্চালনা করবেন মাসুদুর রহমান আদনান।
সভায় ফিলিস্তিন উলামা পরিষদের বাংলাদেশী কো-অর্ডিনেটর ও ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশন ‘ র চেয়ারম্যান মুহাইমিনুল হাসান রিয়াদ বলেন , আপনারা জানেন ফিলিস্তিনে অভিবাসী হিসেবে আশ্রিত এই কালপ্রিট জাতি কিভাবে সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তির কালো হাত ধরে অবৈধ ইজরায়েলী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে। শুধু অবৈধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ক্ষান্ত হয়নি। প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনের বসত বাড়ি দখল, গুম,খুন,গণহত্যা নির্যাতনের স্ট্রিমরুলার চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ‘ইজরায়েলী এই বর্বরতাকে কোন সভ্য সমাজের ব্যক্তিরা সমর্থন দেয়নি “। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশকে প্রদত্ত ইজরায়েলী স্বীকৃতিকে প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিনের প্রতি নৈতিক সমর্থন ব্যক্ত করে এবং ফিলিস্তিন এম্বাসী চালুর আহবান করেন। এসময় বাংলাদেশ সরকারকে জাতীয় শিক্ষাকার্যক্রমের পাঠ্যপুস্তকে মুসলমানদের প্রথম কিবলা মাসজিদে আকসা ও জেরুজালেমের ইতিহাসকে অন্তর্ভূক্ত করার দাবী জানান তিনি।
অধ্যাপক যুবায়ের মোহাম্মদ এহসানুল হক বলেন, আমাদের কে নানা ইস্যুর ভীড়ে ফিলিস্তিনকে ভুলে যাওয়া যাবে না। ইস্যু জারি রাখতে হবে। প্রজন্মকে ফিলিস্তিন ও বায়তুল মাক্বদাস সম্পর্কে জানাতে হবে। ইজরাইলি ও পাশ্চাত্য চক্রান্তের বিরদ্ধে আইডোলজিক্যাল লড়াই সহ সকল লড়াই করতে হবে। ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করার জন্য আমাদের সর্বোপরি প্রস্তুত থাকতে হবে। হামাসের ৭ই অক্টবরের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধীতা করছে মধ্যপ্রাচ্য ও অন্ন রাষ্ট্রগুলো। তিনি আরো বলেন আরবরা চায় আমাদের মতো যেন ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের সাথে শান্তি বজায় রাখেন। খালিদ মিশাল হামাসের এই স্বাধীনতার যুদ্ধের সকল মুসলিম রাষ্ট্রগুলো কে জরুরিভাবে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সাহায্য কামনা করেছেন।
ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম অপু বলেন, আমাদের এখন সেই সময় নেই, এই প্রশ্ন করার! কে কোন মানহাজের, কে কোন দলের, কে কোন আক্বিদার, সবাইকে দলমত ভুলে মানুষের জন্য মানবতার ইজরাইলিদের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।