ঢাকা ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে বাধার মুখে ট্রাম্প Logo জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ১৬ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo এবার শাপলা প্রতীকের আরেক দাবিদারের আবেদন ইসিতে Logo ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়তে প্রস্তুত আনচেলত্তি Logo শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে ৭ কলেজের আন্দোলন স্থগিত Logo স্বর্নের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ২১৩৭১৯ টাকা Logo ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও দুর্নীতিবাজদের জায়গা থাকবে না’ Logo ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়তে প্রধান উপদেষ্টার ৬ প্রস্তাবনা Logo বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম Logo পুলিশ ফ্যাসিবাদী কায়দায় শিক্ষকদের ওপর হামলা করেছে-সাদিক কায়েম

ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে চবি অধ্যাপককে স্থায়ী অপসারণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় রসায়ন বিভাগের সেই অধ্যাপককে স্থায়ীভাবে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে সিন্ডিকেট ৫৪৮তম (জরুরি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অপসারণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আবুল মনছুর ও মোহাম্মদ আলী।

গত ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতারকে চিঠি দিয়ে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ দেন এক ছাত্রী। চিঠিতে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেন, ‘তিনি অভিযুক্ত অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে স্নাতকোত্তরের থিসিস করছেন। থিসিস শুরু হওয়ার পর থেকেই অধ্যাপক তাকে বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করছেন। পরীক্ষাগারে (ল্যাব) ও নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে একাধিকবার ওই অধ্যাপক তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়া, জড়িয়ে ধরাসহ নানাভাবে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন করে আসছেন।

অভিযোগে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেন, ৬ জানুয়ারি গবেষণাগারে তাকে একা পেয়ে ওই শিক্ষক যৌন নিপীড়ন করেন। এরপর ১৩ জানুয়ারি নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই দিন থেকেই ক্লাস বর্জনের কর্মসূচি পালন করছেন রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশ ও ছাত্র ইউনিয়নসহ বাম ধারার সাত সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় ১ ফেব্রুয়ারি ওই অধ্যাপককে সাময়িক অপসারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন কেন্দ্রের অভিযোগ কমিটিও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে।

পরে গত মঙ্গলবার এ কমিটি যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রে প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর এ কমিটি শুক্রবার সকালে সভা করে। সভা শেষে জরুরি সিন্ডিকেট ডাকেন উপাচার্য শিরীণ আখতার। সিন্ডিকেট এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।

জানতে চাইলে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের সদস্য সচিব অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, যাচাইবাছাই করে সিন্ডিকেটে সুপারিশসহ তারা প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। ধর্ষণচেষ্টার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে বাধার মুখে ট্রাম্প

ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে চবি অধ্যাপককে স্থায়ী অপসারণ

আপডেট সময় ০২:১৫:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় রসায়ন বিভাগের সেই অধ্যাপককে স্থায়ীভাবে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে সিন্ডিকেট ৫৪৮তম (জরুরি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অপসারণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আবুল মনছুর ও মোহাম্মদ আলী।

গত ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতারকে চিঠি দিয়ে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ দেন এক ছাত্রী। চিঠিতে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেন, ‘তিনি অভিযুক্ত অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে স্নাতকোত্তরের থিসিস করছেন। থিসিস শুরু হওয়ার পর থেকেই অধ্যাপক তাকে বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করছেন। পরীক্ষাগারে (ল্যাব) ও নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে একাধিকবার ওই অধ্যাপক তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়া, জড়িয়ে ধরাসহ নানাভাবে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন করে আসছেন।

অভিযোগে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেন, ৬ জানুয়ারি গবেষণাগারে তাকে একা পেয়ে ওই শিক্ষক যৌন নিপীড়ন করেন। এরপর ১৩ জানুয়ারি নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই দিন থেকেই ক্লাস বর্জনের কর্মসূচি পালন করছেন রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশ ও ছাত্র ইউনিয়নসহ বাম ধারার সাত সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় ১ ফেব্রুয়ারি ওই অধ্যাপককে সাময়িক অপসারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন কেন্দ্রের অভিযোগ কমিটিও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে।

পরে গত মঙ্গলবার এ কমিটি যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রে প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর এ কমিটি শুক্রবার সকালে সভা করে। সভা শেষে জরুরি সিন্ডিকেট ডাকেন উপাচার্য শিরীণ আখতার। সিন্ডিকেট এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।

জানতে চাইলে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের সদস্য সচিব অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, যাচাইবাছাই করে সিন্ডিকেটে সুপারিশসহ তারা প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। ধর্ষণচেষ্টার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।