ঢাকা ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ চলছেই, নিহত ছাড়িয়ে গেল ৫৪ হাজার ৪০০ Logo যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইলপন্থি বিক্ষোভে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, আহত ৬ Logo ৫ আগস্টেই চালু হবে জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: উপদেষ্টা ফারুকী Logo এই বিচার প্রতিশোধের জন্য নয়, ভবিষ্যতের প্রতিজ্ঞা: তাজুল ইসলাম Logo আজ মেজর সিনহা হত্যার রায়: লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড চায় এলাকাবাসী Logo গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাসের প্রতিক্রিয়া ‘অগ্রহণযোগ্য’: যুক্তরাষ্ট্র Logo চট্টগ্রামে ‘আমাদের ওবায়েদ ভাই’ শীর্ষক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত Logo আমিরে জামায়াতকে নিয়ে ভুয়া তথ্য ও অপপ্রচার, নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি Logo বিএনপিকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: জয়নুল আবদিন Logo ছাত্রদের উপদেষ্টা পরিষদে রাখা ‘বিরাট ভুল’ হয়েছে: হাফিজ

ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে চবি অধ্যাপককে স্থায়ী অপসারণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় রসায়ন বিভাগের সেই অধ্যাপককে স্থায়ীভাবে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে সিন্ডিকেট ৫৪৮তম (জরুরি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অপসারণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আবুল মনছুর ও মোহাম্মদ আলী।

গত ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতারকে চিঠি দিয়ে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ দেন এক ছাত্রী। চিঠিতে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেন, ‘তিনি অভিযুক্ত অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে স্নাতকোত্তরের থিসিস করছেন। থিসিস শুরু হওয়ার পর থেকেই অধ্যাপক তাকে বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করছেন। পরীক্ষাগারে (ল্যাব) ও নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে একাধিকবার ওই অধ্যাপক তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়া, জড়িয়ে ধরাসহ নানাভাবে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন করে আসছেন।

অভিযোগে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেন, ৬ জানুয়ারি গবেষণাগারে তাকে একা পেয়ে ওই শিক্ষক যৌন নিপীড়ন করেন। এরপর ১৩ জানুয়ারি নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই দিন থেকেই ক্লাস বর্জনের কর্মসূচি পালন করছেন রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশ ও ছাত্র ইউনিয়নসহ বাম ধারার সাত সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় ১ ফেব্রুয়ারি ওই অধ্যাপককে সাময়িক অপসারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন কেন্দ্রের অভিযোগ কমিটিও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে।

পরে গত মঙ্গলবার এ কমিটি যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রে প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর এ কমিটি শুক্রবার সকালে সভা করে। সভা শেষে জরুরি সিন্ডিকেট ডাকেন উপাচার্য শিরীণ আখতার। সিন্ডিকেট এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।

জানতে চাইলে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের সদস্য সচিব অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, যাচাইবাছাই করে সিন্ডিকেটে সুপারিশসহ তারা প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। ধর্ষণচেষ্টার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।

গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ চলছেই, নিহত ছাড়িয়ে গেল ৫৪ হাজার ৪০০

ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে চবি অধ্যাপককে স্থায়ী অপসারণ

আপডেট সময় ০২:১৫:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় রসায়ন বিভাগের সেই অধ্যাপককে স্থায়ীভাবে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে সিন্ডিকেট ৫৪৮তম (জরুরি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অপসারণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আবুল মনছুর ও মোহাম্মদ আলী।

গত ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতারকে চিঠি দিয়ে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ দেন এক ছাত্রী। চিঠিতে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেন, ‘তিনি অভিযুক্ত অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে স্নাতকোত্তরের থিসিস করছেন। থিসিস শুরু হওয়ার পর থেকেই অধ্যাপক তাকে বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করছেন। পরীক্ষাগারে (ল্যাব) ও নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে একাধিকবার ওই অধ্যাপক তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়া, জড়িয়ে ধরাসহ নানাভাবে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন করে আসছেন।

অভিযোগে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেন, ৬ জানুয়ারি গবেষণাগারে তাকে একা পেয়ে ওই শিক্ষক যৌন নিপীড়ন করেন। এরপর ১৩ জানুয়ারি নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই দিন থেকেই ক্লাস বর্জনের কর্মসূচি পালন করছেন রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশ ও ছাত্র ইউনিয়নসহ বাম ধারার সাত সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় ১ ফেব্রুয়ারি ওই অধ্যাপককে সাময়িক অপসারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন কেন্দ্রের অভিযোগ কমিটিও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে।

পরে গত মঙ্গলবার এ কমিটি যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রে প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর এ কমিটি শুক্রবার সকালে সভা করে। সভা শেষে জরুরি সিন্ডিকেট ডাকেন উপাচার্য শিরীণ আখতার। সিন্ডিকেট এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।

জানতে চাইলে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের সদস্য সচিব অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, যাচাইবাছাই করে সিন্ডিকেটে সুপারিশসহ তারা প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। ধর্ষণচেষ্টার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।