ঢাকা ০২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা Logo ‘সাংবিধানিক আইন ও বিধি অনুযায়ী শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগ নেই’ Logo রাকসুতে হেরে যাওয়া ছাত্রদল প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের শিবিরের সঙ্গীতকে কটাক্ষ করে নাচ Logo দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি Logo দ্য নিউজের সাংবাদিক ইমরানকে প্রাণনাশের হুমকি Logo দেশ জুড়ে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত: মির্জা ফখরুল Logo চট্রগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন কাচামাল নিয়ে জাহাজডুবি Logo রিশাদের রেকর্ড বোলিংয়ে মিরপুরে বাংলাদেশের বড় জয় Logo মৌলভীবাজারে এম নাসের রহমানের নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু Logo একাত্তরের শহিদ আবদুর রবের কবর জিয়ারত করলেন চাকসুর ভিপি-জিএসরা

চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ১০:৪৭:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 298

চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পাহাড় ও কৃষি জমির মাটি কাটা ৭ দিনের মধ্যে বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বিবাদীদের এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

লোহাগাড়ায় পাহাড় ও কৃষি মাটি কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানাতে চাওয়া হয়েছে রুলে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালযয়ের সিচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৯ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর ৬(খ) ধারা অনুসারে বিনা অনুমতিতে পাহাড় কাটা নিষেধ। কিন্তু একটি প্রভাবশালী মহল আইন অমান্য করে তা করে যাচ্ছে। শুধু পাহড়ই না, কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে তা ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। পাহাড় ও মাটি কাটার মহোৎসব চললেও প্রশাসন সেখানে নিষ্ক্রিয়।

আর এই নিষ্ক্রিয়তায় মারাত্মক হুমকীর মুখে পড়ছে পরিবেশ-প্রকৃতি। আদালত রিট আবেদনের বক্তব্য শুনে রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।’
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পাহাড় ও কৃষি জমির মাটি কেটা নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। পরে এ প্রতিবেদনটি যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)’র পক্ষে গত ৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

আপডেট সময় ১০:৪৭:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পাহাড় ও কৃষি জমির মাটি কাটা ৭ দিনের মধ্যে বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বিবাদীদের এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

লোহাগাড়ায় পাহাড় ও কৃষি মাটি কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানাতে চাওয়া হয়েছে রুলে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালযয়ের সিচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৯ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর ৬(খ) ধারা অনুসারে বিনা অনুমতিতে পাহাড় কাটা নিষেধ। কিন্তু একটি প্রভাবশালী মহল আইন অমান্য করে তা করে যাচ্ছে। শুধু পাহড়ই না, কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে তা ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। পাহাড় ও মাটি কাটার মহোৎসব চললেও প্রশাসন সেখানে নিষ্ক্রিয়।

আর এই নিষ্ক্রিয়তায় মারাত্মক হুমকীর মুখে পড়ছে পরিবেশ-প্রকৃতি। আদালত রিট আবেদনের বক্তব্য শুনে রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।’
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পাহাড় ও কৃষি জমির মাটি কেটা নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। পরে এ প্রতিবেদনটি যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)’র পক্ষে গত ৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।