ঢাকা ১০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo যেদিন আমরা রাস্তায় নামব লাঠি না, বন্দুকও কিছু করতে পারবে না Logo জামালপুরে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তির ৮ বছরের কারাদন্ড Logo বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল: ‘নৈতিক কারণে’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ Logo শিক্ষার্থীদের নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান ঢাবি উপাচার্যের Logo বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল : নিহত ১৯, কাঠমান্ডুতে কারফিউ Logo সন্ত্রা/সবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান কারাগারে Logo ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে মোতায়েন থাকবে ২০৯৬ পুলিশ সদস্য Logo ডাকসু নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক, নেই কোনো শঙ্কা Logo এবার ভিপি প্রার্থী শামীমের পক্ষে ভোট চাইলেন আওয়ামীপন্থী অধ্যাপক আ ক ম জামাল Logo জামায়াত আমিরের সঙ্গে জাতিসংঘের প্রতিনিধির সাক্ষাৎ

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি পেতে তথ্যের অপব্যবহার করেছে ভারত

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ির ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে ভারত তাদের আবেদনে অসত্য তথ্য উপস্থাপন ও তথ্যের অপব্যবহার করেছে।

‘টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি: প্রক্রিয়া, পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক সভায় এ কথা বলেন তিনি।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) রাজধানীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে এর আয়োজন করে সিপিডি। সভায় মূলত সাংবাদিকের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। এতে মূল বক্তব্য দেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

অন্যদিকে ‘বেঙ্গল মসলিন’-এর জিআই পণ্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে জার্নাল প্রকাশ করেছে ভারত। এ বিষয়ে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশকে আপত্তি জানাতে হবে বলে জানান দেবপ্রিয়।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশ উচ্চতর মধ্যম আয়ের দেশে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। সেজন্য মেধা সম্পদের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। টাঙ্গাইলের মতো বিষয়গুলোর সুরাহা করতে হবে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন আমাদের ভারতের আদালতে আইনি লড়াই চালাতে হবে। এছাড়া মসলিন ভারতের জিআই পণ্য হিসেবে এখনো নিবন্ধিত হয়নি। এ নিয়েও আপত্তি জানাতে হবে।

তিনি বলেন, ৫০ হাজার শাড়ি প্রতি সপ্তাহে ভারতে যাচ্ছে। তারা যদি আমাদের শাড়ি তৈরি করে তবে আমাদের ঐতিহ্যগত সুনাম নষ্টের পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে। কেননা আমাদের কাপড়, আমাদের তাঁতি, আমাদের মিল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভারতের আবেদনে বলা হয়, হিন্দুরা ভারতে চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গে টাঙ্গাইল শাড়িও নিয়ে যায়। আসলে তা সত্য নয়। প্রচুর মুসলমান তাঁতি টাঙ্গাইলে রয়েছে যারা শাড়ির কাজ করে। এতে তথ্যের অপব্যবহার ও অসত্য তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

যেদিন আমরা রাস্তায় নামব লাঠি না, বন্দুকও কিছু করতে পারবে না

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি পেতে তথ্যের অপব্যবহার করেছে ভারত

আপডেট সময় ০৫:৩৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ির ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে ভারত তাদের আবেদনে অসত্য তথ্য উপস্থাপন ও তথ্যের অপব্যবহার করেছে।

‘টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি: প্রক্রিয়া, পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক সভায় এ কথা বলেন তিনি।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) রাজধানীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে এর আয়োজন করে সিপিডি। সভায় মূলত সাংবাদিকের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। এতে মূল বক্তব্য দেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

অন্যদিকে ‘বেঙ্গল মসলিন’-এর জিআই পণ্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে জার্নাল প্রকাশ করেছে ভারত। এ বিষয়ে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশকে আপত্তি জানাতে হবে বলে জানান দেবপ্রিয়।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশ উচ্চতর মধ্যম আয়ের দেশে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। সেজন্য মেধা সম্পদের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। টাঙ্গাইলের মতো বিষয়গুলোর সুরাহা করতে হবে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন আমাদের ভারতের আদালতে আইনি লড়াই চালাতে হবে। এছাড়া মসলিন ভারতের জিআই পণ্য হিসেবে এখনো নিবন্ধিত হয়নি। এ নিয়েও আপত্তি জানাতে হবে।

তিনি বলেন, ৫০ হাজার শাড়ি প্রতি সপ্তাহে ভারতে যাচ্ছে। তারা যদি আমাদের শাড়ি তৈরি করে তবে আমাদের ঐতিহ্যগত সুনাম নষ্টের পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে। কেননা আমাদের কাপড়, আমাদের তাঁতি, আমাদের মিল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভারতের আবেদনে বলা হয়, হিন্দুরা ভারতে চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গে টাঙ্গাইল শাড়িও নিয়ে যায়। আসলে তা সত্য নয়। প্রচুর মুসলমান তাঁতি টাঙ্গাইলে রয়েছে যারা শাড়ির কাজ করে। এতে তথ্যের অপব্যবহার ও অসত্য তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।