ঢাকা ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী কয়েক মাস বড় কর্মসূচিতে না যাওয়ার চিন্তা বিএনপির

ভোটের পর আন্দোলনের নতুন ছক এখনো তৈরি করেনি বিএনপি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আপাতত বড় ধরনের কোনো কর্মসূচির চিন্তা নেই দলটির নীতিনির্ধারণী নেতাদের। বিশেষ করে, চলতি ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী এপ্রিল মাসে রমজানের ঈদ পর্যন্ত বড় কর্মসূচি থাকবে না। তবে এই সময়ে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি, নাগরিক দুর্ভোগ, হয়রানিসহ জনসম্পৃক্ত বিষয়গুলো নিয়ে মাঠে সোচ্চার থাকবে দলটি।

১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। শিক্ষা বোর্ডের সূচি অনুযায়ী, ১২ মার্চ পরীক্ষা শেষ হবে। ওই দিন বা তার পরদিন (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) থেকে শুরু হবে পবিত্র রমজানের মাস। রোজা শেষে ১০ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে যেকোনো দিন অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এই তিন মাসে ছক বাঁধা কোনো কর্মসূচি রাখেনি। এই সময়টাতে তারা মূলত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতি, মানুষের অভাব, নাগরিক হয়রানির ঘটনাসহ জনসম্পৃক্ত বিষয়গুলো নিয়ে মাঠে থাকবে। এই সময়ে নতুন কোনো ঘটনা সামনে এলে তা নিয়ে তাৎক্ষণিক কর্মসূচি দেবে। ফাঁকে ফাঁকে ইস্যুভিত্তিক কিছু কর্মসূচি থাকতে পারে। তবে সেগুলো বড় ধরনের কিছু নয়।

এদিকে মার্চেই হতে যাচ্ছে কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ঈদের পর শুরু হবে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। পর্যায়ক্রমে কয়েক ধাপে এই নির্বাচন হবে। তার আগেই বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না।

বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতারা বলছেন, স্বনামে বা বেনামে যেভাবেই হোক উপজেলা নির্বাচনে গেলে বিএনপিকে সেদিকে নজর দিতে হবে। ফলে এ সময়ের মধ্যে বড় কিছু না ঘটলে একটা লম্বা সময় বিএনপির শক্ত আন্দোলন-কর্মসূচিতে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে আগামী সপ্তাহে এসএসসি পরীক্ষা, এরপর রোজা-ঈদ, তারপর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সব মিলিয়ে একটা বড় সময় মাঠের আন্দোলন-কর্মসূচিতে ফেরার সম্ভাবনা কম বলে দলটির একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের নৈতিকভাবে দুর্বল হওয়ার কোনো কারণ নেই। এই মুহূর্তে মহাসচিবসহ (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মী জেলে, লাখ লাখ নেতা-কর্মী ফেরারি হয়ে আছেন। কোর্ট-কাচারি, কোথাও তারা জায়গা পাচ্ছেন না। এখন তাদের মুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য।’

জনপ্রিয় সংবাদ

আগামী কয়েক মাস বড় কর্মসূচিতে না যাওয়ার চিন্তা বিএনপির

আপডেট সময় ০১:২৬:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ভোটের পর আন্দোলনের নতুন ছক এখনো তৈরি করেনি বিএনপি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আপাতত বড় ধরনের কোনো কর্মসূচির চিন্তা নেই দলটির নীতিনির্ধারণী নেতাদের। বিশেষ করে, চলতি ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী এপ্রিল মাসে রমজানের ঈদ পর্যন্ত বড় কর্মসূচি থাকবে না। তবে এই সময়ে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি, নাগরিক দুর্ভোগ, হয়রানিসহ জনসম্পৃক্ত বিষয়গুলো নিয়ে মাঠে সোচ্চার থাকবে দলটি।

১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। শিক্ষা বোর্ডের সূচি অনুযায়ী, ১২ মার্চ পরীক্ষা শেষ হবে। ওই দিন বা তার পরদিন (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) থেকে শুরু হবে পবিত্র রমজানের মাস। রোজা শেষে ১০ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে যেকোনো দিন অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এই তিন মাসে ছক বাঁধা কোনো কর্মসূচি রাখেনি। এই সময়টাতে তারা মূলত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতি, মানুষের অভাব, নাগরিক হয়রানির ঘটনাসহ জনসম্পৃক্ত বিষয়গুলো নিয়ে মাঠে থাকবে। এই সময়ে নতুন কোনো ঘটনা সামনে এলে তা নিয়ে তাৎক্ষণিক কর্মসূচি দেবে। ফাঁকে ফাঁকে ইস্যুভিত্তিক কিছু কর্মসূচি থাকতে পারে। তবে সেগুলো বড় ধরনের কিছু নয়।

এদিকে মার্চেই হতে যাচ্ছে কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ঈদের পর শুরু হবে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। পর্যায়ক্রমে কয়েক ধাপে এই নির্বাচন হবে। তার আগেই বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না।

বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতারা বলছেন, স্বনামে বা বেনামে যেভাবেই হোক উপজেলা নির্বাচনে গেলে বিএনপিকে সেদিকে নজর দিতে হবে। ফলে এ সময়ের মধ্যে বড় কিছু না ঘটলে একটা লম্বা সময় বিএনপির শক্ত আন্দোলন-কর্মসূচিতে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে আগামী সপ্তাহে এসএসসি পরীক্ষা, এরপর রোজা-ঈদ, তারপর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সব মিলিয়ে একটা বড় সময় মাঠের আন্দোলন-কর্মসূচিতে ফেরার সম্ভাবনা কম বলে দলটির একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের নৈতিকভাবে দুর্বল হওয়ার কোনো কারণ নেই। এই মুহূর্তে মহাসচিবসহ (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মী জেলে, লাখ লাখ নেতা-কর্মী ফেরারি হয়ে আছেন। কোর্ট-কাচারি, কোথাও তারা জায়গা পাচ্ছেন না। এখন তাদের মুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য।’