ঢাকা ০৮:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গরুর যে বুদ্ধি আছে তা অনেক মানুষের নেই: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Logo টাঙ্গাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ছাত্রশিবিরের হেল্প ডেস্ক Logo সিরাজগঞ্জে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে ছাত্রশিবির Logo ট্রাইব্যুনাল থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে শেখ হাসিনার বিচার কার্যক্রম Logo হাতিয়ার মেঘনায় ৩৯ যাত্রী নিয়ে ট্রলার ডুবি, ১৯ জন নিখোঁজ Logo রংপুরে ছাত্রশিবিরের হেল্প ডেস্কে হামলা, আটক ১ Logo ১০০ ব্যবসায়ী নিয়ে ঢাকায় এলেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও Logo ‘যারা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় তাদের সঙ্গে আমরা একমত নই’ Logo রংপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় শিবিরের হেল্প ডেস্কে হামলা, আহত ৫ Logo নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় প্রাণ গেল অন্তত ১১৫ জনের

খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার আবেদন প্রকাশ করলেন তার আইনজীবী

খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার আবেদন প্রকাশ করলেন তার আইনজীবী

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে সকল শর্ত শিথিল করে স্থায়ীভাবে মুক্তি ও বিদেশে গমনের অনুমতি দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছেন তার ভাই শামিম ইস্কান্দার। গত ৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষে আবেদনটি গ্রহণ করা হয় বলে আবেদনের ওই কপিটি আজ ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর দেওয়া আবেদনে খালেদা জিয়ার ভাই শামিম ইস্কান্দার লিখেছেন, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সরকারের নির্বাহী আদেশে ৭ম বারের মতো দুইটি শর্ত সাপেক্ষে ০৬ (ছয়) মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। তার মুক্তির মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। বেগম জিয়া কভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ৫৪দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০২১ সালের ১৯ জুন হাসপাতাল থেকে তিনি রিলিজ পান।

কিন্তু পুনরায় তার স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি হওয়ায় ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আবারো ‘এভারকেয়ার’ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ৮০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফিরে আসেন। পরবর্তিতে আরো ৭ বার তাকে জরুরী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে হয়। বর্তমানে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে বাসায় অবস্থান করলেও অধিকতর উন্নত চিকিৎসার অভাবে এবং কভিড পরবর্তী বিরূপ প্রভাবে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিন্দুমাত্র উন্নতি হয়নি। উপরন্ত দিনের পর দিন শারিরীক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। অতীব উদ্বেগের বিষয় ইতোমধ্যে তিনি ‘লিভার সিরোসিস’ এবং ‘হৃদরোগে’ আক্রান্ত হয়েছেন। যার আধুনিক চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়।

তিনি পূর্বের মতোই উঠে দাঁড়াতে পারেন না, এমনকি কাহারও সাহায্য ছাড়া ওয়াশ-রুম কিংবা শয়নকক্ষের বাইরেও যেতে পারেন না।’
শামিম ইস্কান্দার ওই আবেদনে লিখেছেন, ‘বেগম জিয়ার জীবন রক্ষার্থে ও তার শারীরিক সক্ষমতা ফিরিয়ে আনার জন্য জরুরী ভিত্তিতে উন্নতমানের ফিজিওথেরাপিসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে দেশের বাইরে advance medical centre’-এ চিকিৎসা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। এমতাবস্থায়, সকল শর্ত শিথিল পূর্বক তাকে স্থায়ীভাবে মুক্তি এবং বিদেশে গমনের অনুমতি প্রদানের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’

জনপ্রিয় সংবাদ

গরুর যে বুদ্ধি আছে তা অনেক মানুষের নেই: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার আবেদন প্রকাশ করলেন তার আইনজীবী

আপডেট সময় ০২:১০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে সকল শর্ত শিথিল করে স্থায়ীভাবে মুক্তি ও বিদেশে গমনের অনুমতি দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছেন তার ভাই শামিম ইস্কান্দার। গত ৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষে আবেদনটি গ্রহণ করা হয় বলে আবেদনের ওই কপিটি আজ ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর দেওয়া আবেদনে খালেদা জিয়ার ভাই শামিম ইস্কান্দার লিখেছেন, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সরকারের নির্বাহী আদেশে ৭ম বারের মতো দুইটি শর্ত সাপেক্ষে ০৬ (ছয়) মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। তার মুক্তির মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। বেগম জিয়া কভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ৫৪দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০২১ সালের ১৯ জুন হাসপাতাল থেকে তিনি রিলিজ পান।

কিন্তু পুনরায় তার স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি হওয়ায় ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আবারো ‘এভারকেয়ার’ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ৮০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফিরে আসেন। পরবর্তিতে আরো ৭ বার তাকে জরুরী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে হয়। বর্তমানে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে বাসায় অবস্থান করলেও অধিকতর উন্নত চিকিৎসার অভাবে এবং কভিড পরবর্তী বিরূপ প্রভাবে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিন্দুমাত্র উন্নতি হয়নি। উপরন্ত দিনের পর দিন শারিরীক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। অতীব উদ্বেগের বিষয় ইতোমধ্যে তিনি ‘লিভার সিরোসিস’ এবং ‘হৃদরোগে’ আক্রান্ত হয়েছেন। যার আধুনিক চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়।

তিনি পূর্বের মতোই উঠে দাঁড়াতে পারেন না, এমনকি কাহারও সাহায্য ছাড়া ওয়াশ-রুম কিংবা শয়নকক্ষের বাইরেও যেতে পারেন না।’
শামিম ইস্কান্দার ওই আবেদনে লিখেছেন, ‘বেগম জিয়ার জীবন রক্ষার্থে ও তার শারীরিক সক্ষমতা ফিরিয়ে আনার জন্য জরুরী ভিত্তিতে উন্নতমানের ফিজিওথেরাপিসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে দেশের বাইরে advance medical centre’-এ চিকিৎসা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। এমতাবস্থায়, সকল শর্ত শিথিল পূর্বক তাকে স্থায়ীভাবে মুক্তি এবং বিদেশে গমনের অনুমতি প্রদানের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’