ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রিজার্ভ নামল ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৪৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 283

রিজার্ভ নামল ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে

দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ডলারের সংকট। আমদানির চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন ডলার বি‌ক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফ‌লে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ কমে ১৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে।

বছরের শুরুতে দেশে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি গ্রস রিজার্ভ ২৫ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলারে এসেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর শর্ত অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যাথোডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক মাসে রিজার্ভ কমেছে ১৯১ কোটি ডলার কমে গেছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার।

এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে। প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে।

ট্যাগস :

বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা এখন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে

রিজার্ভ নামল ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে

আপডেট সময় ০৬:৪৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ডলারের সংকট। আমদানির চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন ডলার বি‌ক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফ‌লে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ কমে ১৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে।

বছরের শুরুতে দেশে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি গ্রস রিজার্ভ ২৫ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলারে এসেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর শর্ত অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যাথোডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক মাসে রিজার্ভ কমেছে ১৯১ কোটি ডলার কমে গেছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার।

এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে। প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে।