কুষ্টিয়ার খাজানগরে দেশের বৃহত্তম চালের মোকামে অভিযান চালান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার হঠাৎ চালের দাম বৃদ্ধির কারণ খুঁজতে মিনিকেট চালের অন্যতম বৃহৎ মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে অভিযান চালিয়েছেন।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিনি খাজানগর চালের মোকামে উপস্থিত হন। এসময় একটি মিলের গুদামে প্রায় ৪০০ টন ধানের মজুদ খুঁজে পান মন্ত্রী। সুবর্ণা অটো রাইস মিলের মালিক জিন্নাহ আলম অন্য একটি মিলের গুদামে অবৈধভাবে এ ধান মজুদ করেছিলেন।
মন্ত্রীর নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে গুদামটি সিলগালা করা হয়। এছাড়া একই ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি আটা মিলের গুদামে ১৫০ টন গমের অবৈধ মজুদ পেয়ে সেটিও সিলগালার নির্দেশ দেন তিনি।
এদিন মন্ত্রী পর্যায়ক্রমে খাজানগর মোকামের অন্যতম মিনিকেট চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দেশ এগ্রো ফুড, সুর্বণা এগ্রো, স্বর্ণা এগ্রো ফুড, আল্লার দান এগ্রো এবং রশিদ এগ্রো ফুড পরিদর্শনে যান। এসব চালকল ও এর গুদাম ঘুরে ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। প্রায় প্রতিটি মিলেই কিছু না কিছু অসঙ্গতি খুঁজে পান তিনি। এর মধ্যে আল্লার দান এগ্রো ফুডের একটি গুদামে প্রায় ৪০০ টন ধানের মজুদ দেখতে পান তিনি।
পরে জানা যায়, ওই ধানের মালিক সুর্বণা এগ্রো ফুডের স্বত্বাধিকারী জিন্নাহ আলম। পরে জিন্নাহ আলমের আটার মিলে প্রায় ১৫০ টন গমের মজুদও খুঁজে পান মন্ত্রী। তিনি তাৎক্ষণিক গুদাম দুটি সিলগালা করার নির্দেশ দেন। মন্ত্রী এসময় সংশ্লিষ্ট মিল মালিকদের ভর্ৎসনা করেন। পাশাপাশি তিনি কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাবুল হোসেনকেও ভর্ৎসনা করেন।
তিনি খাদ্য নিয়ন্ত্রককে বলেন, এসব অনিয়ম কেনো এতোদিন চোখে পড়েনি। সব কিছু যদি আমাকে দেখতে হয়, তাহলে তোমরা এখানে কি কর। এসময় খাদ্যমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, অবৈধ মজুতসহ কেউ কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি করছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ অভিযানে মন্ত্রীর সঙ্গে খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজাসহ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা এবং চালকল মালিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।