ঢাকা ০৬:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা Logo ধর্ষকদের শাস্তির হবে প্রকাশ্য মৃত্যুদন্ড: পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা Logo ডাঃ লেলিনের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ Logo ‘জুলাই-আগস্টের চেতনাকে ধারণ করে পুলিশ বাহিনীর গৌরব সমুন্নত রাখতে হবে’স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান Logo ভারতকে হারালে ১ কোটি রুপি পুরস্কার পাবেন রিজওয়ানরা, প্রতিশ্রুতি গভর্নরের Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের

বিজেপি নেতাকে খুনের দায়ে ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৭:১৩:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
  • 207

বিজেপি নেতাকে খুনের দায়ে ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার একটি আদালত ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক স্থানীয় নেতাকে হত্যার দায়ে ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছেন। বিবিসি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, সাজাপ্রাপ্ত ১৫ জন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার (পিএফআই) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিতর্কিত এই মুসলিম গোষ্ঠীটি ২০২২ সালে নিষিদ্ধ হয়েছিল।

২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর রঞ্জিত শ্রীনিবাসনকে তাঁর বাড়িতে মা, স্ত্রী এবং মেয়ের সামনে খুন করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের এ সাজা দেওয়া হয়েছে। এর আগে কেরালার আলাপুজা জেলার একটি দায়রা আদালত ২০ জানুয়ারি এই ১৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। তবে আসামিরা এ সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন। মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ার পর শ্রীনিবাসনের স্ত্রী লিশা বলেছেন, তাঁদের ক্ষতি ‘অপূরণীয়’ হলেও এ রায় কিছুটা স্বস্তি দেবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ তদন্তের সময় জানতে পারে, ১৫ আসামির মধ্যে আটজন সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং অন্যরা বাড়ির বাইরে অস্ত্র নিয়ে পাহারা দিচ্ছিলেন। সাজাপ্রাপ্তদের কয়েকজন পিএফআইয়ের সদস্য ছিলেন এবং অন্যরা গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক ইউনিট সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইন্ডিয়ার (এসডিপিআই) সদস্য ছিলেন। ২০২২ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএফআইকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে।

বিবিসির তথ্য অনুসারে, কেরালার আলাপুঝায় এসডিপিআই নেতা কে এস শানকে হত্যার কয়েক ঘণ্টা পর শ্রীনিবাসনের হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

একটি তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) একজন কর্মীকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে শানকে হত্যা করা হয়েছিল। শানকে হত্যার কয়েক মাস পর ২১ জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে। পুলিশ বলেছে, তারা হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে আরএসএসের পাঁচ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে, যারা পরে জামিন পান। আগামী মাসে এ মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা

বিজেপি নেতাকে খুনের দায়ে ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৭:১৩:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার একটি আদালত ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক স্থানীয় নেতাকে হত্যার দায়ে ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছেন। বিবিসি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, সাজাপ্রাপ্ত ১৫ জন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার (পিএফআই) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিতর্কিত এই মুসলিম গোষ্ঠীটি ২০২২ সালে নিষিদ্ধ হয়েছিল।

২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর রঞ্জিত শ্রীনিবাসনকে তাঁর বাড়িতে মা, স্ত্রী এবং মেয়ের সামনে খুন করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের এ সাজা দেওয়া হয়েছে। এর আগে কেরালার আলাপুজা জেলার একটি দায়রা আদালত ২০ জানুয়ারি এই ১৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। তবে আসামিরা এ সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন। মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ার পর শ্রীনিবাসনের স্ত্রী লিশা বলেছেন, তাঁদের ক্ষতি ‘অপূরণীয়’ হলেও এ রায় কিছুটা স্বস্তি দেবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ তদন্তের সময় জানতে পারে, ১৫ আসামির মধ্যে আটজন সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং অন্যরা বাড়ির বাইরে অস্ত্র নিয়ে পাহারা দিচ্ছিলেন। সাজাপ্রাপ্তদের কয়েকজন পিএফআইয়ের সদস্য ছিলেন এবং অন্যরা গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক ইউনিট সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইন্ডিয়ার (এসডিপিআই) সদস্য ছিলেন। ২০২২ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএফআইকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে।

বিবিসির তথ্য অনুসারে, কেরালার আলাপুঝায় এসডিপিআই নেতা কে এস শানকে হত্যার কয়েক ঘণ্টা পর শ্রীনিবাসনের হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

একটি তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) একজন কর্মীকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে শানকে হত্যা করা হয়েছিল। শানকে হত্যার কয়েক মাস পর ২১ জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে। পুলিশ বলেছে, তারা হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে আরএসএসের পাঁচ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে, যারা পরে জামিন পান। আগামী মাসে এ মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।