ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইরানের প্রতিটি স্থাপনায় হামলার হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর Logo গণসংযোগে বাধা, হামলায় আহত ৫ জামায়াত নেতাকর্মী Logo ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম ঐক্যের আহ্বান পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর Logo গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা Logo ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে: দুদু Logo হজ করতে এসে আটকে পড়া ইরানিদের সব ধরনের সহায়তা দেবে সৌদি আরব Logo বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক Logo সুন্দরগঞ্জে এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ   ছাত্রশিবিরের Logo ইসরায়েলকে সহায়তার ব্যাপারে তিন দেশকে সতর্ক করলো ইরান Logo প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন: জামায়াত

বিজেপি নেতাকে খুনের দায়ে ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৭:১৩:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
  • 240

বিজেপি নেতাকে খুনের দায়ে ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার একটি আদালত ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক স্থানীয় নেতাকে হত্যার দায়ে ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছেন। বিবিসি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, সাজাপ্রাপ্ত ১৫ জন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার (পিএফআই) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিতর্কিত এই মুসলিম গোষ্ঠীটি ২০২২ সালে নিষিদ্ধ হয়েছিল।

২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর রঞ্জিত শ্রীনিবাসনকে তাঁর বাড়িতে মা, স্ত্রী এবং মেয়ের সামনে খুন করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের এ সাজা দেওয়া হয়েছে। এর আগে কেরালার আলাপুজা জেলার একটি দায়রা আদালত ২০ জানুয়ারি এই ১৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। তবে আসামিরা এ সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন। মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ার পর শ্রীনিবাসনের স্ত্রী লিশা বলেছেন, তাঁদের ক্ষতি ‘অপূরণীয়’ হলেও এ রায় কিছুটা স্বস্তি দেবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ তদন্তের সময় জানতে পারে, ১৫ আসামির মধ্যে আটজন সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং অন্যরা বাড়ির বাইরে অস্ত্র নিয়ে পাহারা দিচ্ছিলেন। সাজাপ্রাপ্তদের কয়েকজন পিএফআইয়ের সদস্য ছিলেন এবং অন্যরা গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক ইউনিট সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইন্ডিয়ার (এসডিপিআই) সদস্য ছিলেন। ২০২২ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএফআইকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে।

বিবিসির তথ্য অনুসারে, কেরালার আলাপুঝায় এসডিপিআই নেতা কে এস শানকে হত্যার কয়েক ঘণ্টা পর শ্রীনিবাসনের হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

একটি তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) একজন কর্মীকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে শানকে হত্যা করা হয়েছিল। শানকে হত্যার কয়েক মাস পর ২১ জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে। পুলিশ বলেছে, তারা হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে আরএসএসের পাঁচ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে, যারা পরে জামিন পান। আগামী মাসে এ মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

ইরানের প্রতিটি স্থাপনায় হামলার হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর

বিজেপি নেতাকে খুনের দায়ে ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৭:১৩:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার একটি আদালত ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক স্থানীয় নেতাকে হত্যার দায়ে ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছেন। বিবিসি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, সাজাপ্রাপ্ত ১৫ জন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার (পিএফআই) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিতর্কিত এই মুসলিম গোষ্ঠীটি ২০২২ সালে নিষিদ্ধ হয়েছিল।

২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর রঞ্জিত শ্রীনিবাসনকে তাঁর বাড়িতে মা, স্ত্রী এবং মেয়ের সামনে খুন করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের এ সাজা দেওয়া হয়েছে। এর আগে কেরালার আলাপুজা জেলার একটি দায়রা আদালত ২০ জানুয়ারি এই ১৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। তবে আসামিরা এ সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন। মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ার পর শ্রীনিবাসনের স্ত্রী লিশা বলেছেন, তাঁদের ক্ষতি ‘অপূরণীয়’ হলেও এ রায় কিছুটা স্বস্তি দেবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ তদন্তের সময় জানতে পারে, ১৫ আসামির মধ্যে আটজন সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং অন্যরা বাড়ির বাইরে অস্ত্র নিয়ে পাহারা দিচ্ছিলেন। সাজাপ্রাপ্তদের কয়েকজন পিএফআইয়ের সদস্য ছিলেন এবং অন্যরা গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক ইউনিট সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইন্ডিয়ার (এসডিপিআই) সদস্য ছিলেন। ২০২২ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএফআইকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে।

বিবিসির তথ্য অনুসারে, কেরালার আলাপুঝায় এসডিপিআই নেতা কে এস শানকে হত্যার কয়েক ঘণ্টা পর শ্রীনিবাসনের হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

একটি তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) একজন কর্মীকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে শানকে হত্যা করা হয়েছিল। শানকে হত্যার কয়েক মাস পর ২১ জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে। পুলিশ বলেছে, তারা হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে আরএসএসের পাঁচ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে, যারা পরে জামিন পান। আগামী মাসে এ মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।